ইবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ১২ ডিসেম্বর, চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২০১৯ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১২ ডিসেম্বর। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনে চলবে এ নির্বাচন। নির্বাচন উপলক্ষে গতকাল শনিবার স্ব স্ব প্যানেল তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে।
রবিবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিশ^বিদ্যালয়ের দাওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামকি স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোলায়মান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এবারের নির্বাচনে দুইটি প্যানেল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ^াসী প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন ‘শাপলা ফোরাম’ এবং বাঙালী জাতীয়তাবাদ ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী ‘জিয়া পরিষদ’ এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
উভয় প্যানেলে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ন-সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য পদসহ মোট ১৫টি পদে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৪০৬ জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচনকে ঘিরে এরই মধ্যে উভয় প্যানেল তাদের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় আওয়ামী ও প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্যানেল মনোয়নপত্র জমা দেয়।
এরপর জিয়া পরিষদও ১৫ সদস্য বিশিষ্ট প্যানেল মনোয়ন জমা দেয়। পরে যাচাই বাছাই শেষে দুপুর ২ টার দিকে প্রর্থীতা চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী শাপলা ফোরাম থেকে সভাপতি পদে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলমঙ্গীর হোসেন ভূইয়া নির্বাচন করবেন।
সহ-সভাপতি পদে অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া ১০টি সদস্য পদের জন্যও শাপলা ফোরামের পক্ষ থেকে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে জিয়া পরিষদ পক্ষ থেকে সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করবেন আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দাওয়াহ্ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের অধ্যাপক ড. অলী উল্ল্যাহ।
সহ সভাপতি পদে অধ্যপক ড. আবু সিনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়া জিয়া পরিষদও ১০টি আসনের বিপরীতে তাদের প্রার্থী দিয়েছে।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে উভয় প্যানেলের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। আগামী ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনকে রেখে বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষকদের স্ব স্ব প্যানেলের পক্ষে প্রচার প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘জমাকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাচাই শেষে সকলের মনোনয়নপ্রত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। উভয় প্যানেলের সহযোগীতা পেলে আশা করি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো।’