এনটিআরসিএ কর্মকর্তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীদের
গতকাল ডেইলি ক্যাম্পাস পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজে ১৩-১৪তম শিক্ষক নিবন্ধনধারী ব্যাচ নিয়ে এনটিআরসিএ কর্মকর্তার দেওয়া বিভ্রান্তকর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১৩-১৪তম নিবন্ধনধারীরা। একই সঙ্গে এ বক্তব্য প্রত্যাখান করেছেন তারা। একই সাথে আপিল বিভাগের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ১৩-১৪তম নিবন্ধনের রিটকারী ঐক্য ফোরামের মো. মশিউর রহমান ও মো. আসিফের পাঠানো এক প্রতিবাদ লিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ১৩-১৪তম রিটকারীদের দাবির সাথে ১-১২ তমের দাবির কোন রকম সম্পর্ক নেই। কিন্তু এনটিআরসিএ এক কর্মকর্তা ১-১২ তমের দাবি এবং ১৩-১৪তম রিটকারীদের দাবিকে একই কাতারে ফেলে বিভ্রান্তকর বক্তব্য দিয়েছেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমাদের ১৩-১৪ রিটকারী ঐক্য ফোরামের চলমান আন্দোলনের মূল এবং প্রধান দাবি ছিল একটাই সেটা হচ্ছে, ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল এবং একই বছরের ১২ আগস্ট মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের আপিল ডিভিশন কর্তৃক ১৩-১৪ রিটকারীদের সরাসরি শুন্যপদে নিয়োগের যে রায় দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
এতে বলা হয়, আপনারা জানেন ২০১৫ সালের অধিকতর সংশোধিত গেজেট, একই বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নতুন পরিপত্র এবং ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলারে প্রথমবারের মত শুন্যপদে সরাসরি নিয়োগের জন্য দফা ১০ (ঝ) সংযুক্ত করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত পরীক্ষায় প্রাক, লিখিত এবং এনটিআরসিএর ইতিহাসে প্রথমবারের মত ভাইভার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ১৭২৫৪ জন উত্তীর্ণ হয়। সরাসরি শুন্যপদে নিয়োগের জন্য ১৩তমের ১৭২৫৪ জনকে উত্তীর্ণ করা হলেও এনটিআরসিএ কালক্ষেপন করলে ১৩তমের ২২০৭ জন হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট তাদের সরাসরি নিয়োগের নির্দেশ দেন পরবর্তীতে এনটিআরসিএ সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল ডিভিশন এনটিআরসিএর আপিল না মন্জুর করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে এবং সর্বশেষ এনটিআরসিএ সেই আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করলে ২০২৩ সালের আপিল ডিভিশন এনটিআরসিএ রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয় এবং ২২০৭ জনের পক্ষে থাকা আপিলের রায়ই বহাল রাখে।
আপিলের রায় বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে তৃতীয় গনবিগপ্তিতে ১৩ তমের ২২০৭ জনকে সরাসরি নিয়োগের জন্য ২২০৭ টি শুন্যপদ সংরক্ষণ করে প্রাথমিক নিয়োগ এবং ২০ জানুয়ারি ২০২২ এ চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করে এবং গত আড়াই বছর যাবৎ ঐ ২২০৭ জন শিক্ষক হিসেবে এখন কর্মরত আছে।
আমাদের বর্তমান রিটকারীদের বক্তব্য হচ্ছে যেহেতু আমাদের একই ব্যাচ, গেজেট, পরিপত্র, অভিন্ন নিবন্ধন পরীক্ষার সার্কুলারের মাধ্যমে একই গ্রাউন্ডের আপিল ডিভিশনের রায় নিয়ে ২২০৭ জন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে, তাহলে একই গ্রাউন্ডে রায় পেয়েও আমাদের বর্তমান রিটকারীদের আপিল ডিভিশনের রায় বাস্তবায়নে এনটিআরসিএ কেন এত তালবাহানা করছে। যার ফলে এনটিআরসিএ আমাদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরন, সংবিধান ২৯(১) এর আলোকে চাকরি প্রাপ্তিতে সকলের সমান অধিকার এবং সর্বোপরি আপিল ডিভিশনের রায়কে অসম্মান জানাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, আমাদের বর্তমানে ১৩-১৪ ব্যাচের ১৬ সি.পি. এর রিটকারীর সংখ্যা প্রায় ৩০০০ হলেও প্রকৃত চাকরি ইচ্ছুক প্রার্থী হবে ৮০০ জনের মত। সুতরাং আমরা আশা করছি এনটিআরসিএ আপিল ডিভিশনের রায়কে সন্মান জানিয়ে আপিল ডিভিশনের রায়ের চূড়ান্ত নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের এই সামান্য সংখ্যক রিটকারীদের অতি দ্রুত শুন্যপদে সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্হা করবে।