১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৫:১০

ভিসিসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের শূন্যতা দ্রুত পূরণের দাবি ঢাবি সাদা দলের

  © লোগো

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। পরবর্তীতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বভার গ্রহণ করলে ঢাকাসহ একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা পদত্যাগ করেছেন। তাদের এ পদত্যাগের ফলে সৃষ্ট শূন্যতা দ্রুত পূরণ সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অবিলম্বে একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে ঢাবির বিএনপি-জামায়তপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা। 

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কলা ভবন শিক্ষক লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত সাদা দলের এক সাধারণ সভা থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান। সভায় যুগ্ম-আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক ড. আবদুস সালামসহ বিভিন্ন অনুষদের আহবাক, যুগ্ম-আহবায়ক এবং সাদা দল সমর্থক শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন। আজ বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশে বিরাজমান সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা শেষে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- বিগত ১৫ বছর ধরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রকৃত তালিকা প্রকাশপূর্বক প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি;

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ক্যাম্পাসে বসবাসরত সকলের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি; শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলামে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনার দাবি; বিগত ১৫ বছর ধরে পতিত স্বৈরাচারী সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন এবং সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে জনআকাঙ্খার পরিপন্থী ভূমিকার জন্য সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে নিন্দা জানানো হয় এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সমিতির প্রতি আহবান জানানো হয়; গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও মানবাধিকার হরণ এবং সাম্প্রতিক গণহত্যার জন্য ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট রাজনীতিবিদদের বিচার দাবি; সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রী, আমলা, রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের বিচার দাবি; স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোথাও কোথাও প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, লুটপাট এবং বিশেষ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার ঘটনায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

এছাড়া দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা তার যেসকল নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দিচ্ছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য এ সভা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়।