০৩ আগস্ট ২০২৪, ২২:৩১

৬ দফা দাবিতে শাবিপ্রবির মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয়তাবাদ শিক্ষক ফোরামের বিবৃতি

  © ফাইল ফটো

কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করে ৬ দফা দাবিতে বিবৃতি দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’। 

আজ শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরামের’ আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিমের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চলমান সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ৬ দফা দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেওয়া হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের চলমান অহিংস আন্দোলনে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে শ্রদ্ধাশীল শিক্ষক ফোরাম’ এর শিক্ষকবৃন্দ তীব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। 

“গত ১৬ জুলাই থেকে অদ্যাবধি শত শত ছাত্রছাত্রী হতাহত হয়েছে এবং এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের সাথে শিক্ষকরাও আহত হচ্ছে। সরকারি বাহিনী নির্বিচারে গত কয়েক দিনে যেভাবে হত্যা, গুম ও নির্যাতন চালাচ্ছে তা অতীতের সকল স্বৈরাচারকে হার মানিয়েছে। আমরা শিক্ষক সমাজ এই নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। নিহতদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি। ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক আন্দোলনে আমাদের সমর্থন অব্যাহত রয়েছে।” 

একইসঙ্গে আমরা ৬ দফা দাবি পেশ করছি। এরমধ্যে রয়েছে-গ্রেপ্তারকৃত সকল শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ জনগণের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের গুম, খুনসহ সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করতে হবে, আহত শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাধারণের জনগণের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, শিক্ষকদের বাসায় হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে গোলা বারুদের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, ছাত্রছাত্রীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে অনতিবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে।