ঢাবির দুই নারী শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশের অসদাচরণের নিন্দা সাদা দলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের দুই নারী শিক্ষকের সঙ্গে পুলিশের অসদাচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সমর্থন করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বাসায় হামলার ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সাদা দলের পক্ষ থেকে এসব প্রতিবাদ ও দাবি জানানো হয়। বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও আবদুস সালাম স্বাক্ষর করেছেন।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী হাইকোর্ট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ বা ন্যায়বিচারের জন্য পদযাত্রা কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক নুসরাত জাহান চৌধুরী ও প্রভাষক শেহরীন আমিন ভূঁইয়া। শিক্ষার্থীদের পদযাত্রাটি ক্যাম্পাস ছাড়িয়ে হাইকোর্টের ফটকের সামনে যাওয়ার আগেই পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এতে এই দুই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। শেহরীন আমিন ভূঁইয়া পুলিশের ধাক্কায় পড়ে যান।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের ক্যাম্পাসের বাসার সামনে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত ২৪ জুলাই রিকশায় করে যাওয়ার পথে শাহবাগ এলাকায় পথরোধ করে দুই অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের কাছ থেকে হুমকি পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোনম সাহা।
এসব ঘটনা প্রসঙ্গে সাদা দলের বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক নুসরাত জাহান চৌধুরী ও শেহরীন আমিন ভূঁইয়ার সঙ্গে পুলিশের অসদাচরণ, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক সোনম সাহাকে দুষ্কৃতকারীদের হত্যার হুমকি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বাসায় হামলার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন, মর্মাহত ও বিক্ষুব্ধ। শিক্ষকদের সঙ্গে এসব আচরণ চূড়ান্ত অপমানজনক। আমরা এসব ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে সমর্থন ও তাদের পাশে থাকা শিক্ষক হিসেবে তাঁদের নৈতিক দায়িত্ব। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে দুই শতাধিক প্রাণ ঝরেছে। আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার। গণগ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ অনেকেই। এ সংকটকালে অভিভাবক হিসেবে তাঁরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছেন।