প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজেই রাবি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

  © টিডিসি ফটো

সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ প্রত্যাহার ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বৃষ্টিতে ভিজেই টানা নবম দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলমান থাকবে বলে জানান তাঁরা। 

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডের পাশে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। এসময় বৃষ্টি নামলে ছাতা হাতে অবস্থান নিতে দেখা যায় তাদের। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও চান না আন্দোলন করতে। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে শিক্ষকরা আজ দাবি বাস্তবায়ননের জন্য আন্দোলনে নেমেছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষকদের সাথে বসতে চেয়েছিলেন কিন্তু তাঁর ব্যস্ততার কারণে বসতে পারেনি। আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষকদের পাশে দাঁড়াবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষকদের বেতন কাঠামোর একটি তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনাই বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। এরপরেও যদি প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে শিক্ষকতার মতো এ মহান পেশায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা আসতে চাইবে না। যেটি জাতির জন্য বিপদজনক বয়ে আনবে। আমাদের সকলের আস্থার জায়গা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিবেন।’

রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মুক্ত করা ছাড়া আমাদের এখন আর ঘরে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। আজ আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল সেটিকে আমরা মেনে নেয়নি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই পারে আমাদের আন্দোলনকে চলমান রাখতে।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যয় স্কিমে ৪০৩ ধরনের শ্রেণি রয়েছে। তারা যেহেতু কোনো আন্দোলন করছে না, সেহেতু আমরা তাদের দায়িত্ব নিতে পারব না। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি, এই প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নাম প্রত্যাহার করার জন্য। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল আমাদের এ অবস্থান কর্মসূচিকে অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তারা সফল হবে না। আমরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

এসময় প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন। 


সর্বশেষ সংবাদ