বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেনশনের আন্দোলনে ঢুকছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি কোটা নিয়ে শিক্ষার্থীদের ও সর্বজনীন পেনশন নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলনে ঢুকেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসম্যের পররাষ্ট্রনীতি ও বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিতে এখন প্রচণ্ড অস্থিরতা মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে এখন তারেক আতঙ্ক-তারেক ভূতে পেয়ে বসেছে; কখন কার পদবি চলে যায়! মধ্য রাতের পর সকাল বেলা হঠাৎ দেখে কি না যে, আমি দলীয় পদে নাই। অনেকে এটাকে তারেক ভূত বলছে যে, বিএনপিতে এখন তারেক ভূত।
“আর নিজেদের আন্দোলন করার কোনো ক্ষমতা নাই। যাদের কোনো কিছু করার থাকে না, তারা হয় পরজীবী। বিএনপি এখন একটা পরজীবী রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা কোটার ব্যাপারে আন্দোলন করছে, বিএনপি ওখানে ঢুকেছে। শিক্ষকরা পেনশন নিয়ে আন্দোলন করছে, বিএনপি ওখানে ঢুকেছে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিল। সেই কোটা ব্যবস্থা সরকার পুনর্বহাল করেনি, আদালত রায় দিয়েছে। আদালত বাংলাদেশে স্বাধীন, সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছে। আন্দোলনটা নিশ্চয়ই আদালতের বিরুদ্ধে হচ্ছে? কারণ সরকার তো বাতিল করেনি!
সমাধান আদালতের মাধ্যমেই করতে হবে, অন্যথায় আদালত অবমাননা হবে বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তিনি।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, এখানে যারা তাল দিচ্ছেন, যারা এখানে ঢুকে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন, তাদের সেই প্রচেষ্টা সফল হবে না।
সর্বজনীন পেনশন একটি চমৎকার ব্যবস্থা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একজন দিনমজুরও যেখানে এই পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসবে। এখন শুধু যারা সরকারি কিংবা স্বায়ত্তশাসিত কিংবা আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন, তারা পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আছেন। স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য সরকার বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
“এখানে হয়তো বোঝার ঘাটতি আছে, সেটি নিয়ে আজকে শিক্ষক নেতারা আমাদের শিক্ষামন্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে বসবেন। আশা করি, এরপর ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হবে”।