ঢাবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশ নেবে না শিক্ষক সমিতি
আগামী ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কোনো কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক সমিতি। রবিবার (৩০ জুন) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি উপলক্ষে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।
জানা যায়, সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। দুঃখের বিষয়, এমন একটি দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের রাজপথে থাকতে হবে। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা তাকে জানিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কোনো কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি অংশ নেবে না।
সর্বাত্মক আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের এক বিজ্ঞপ্তিতে সর্বাত্মক আন্দোলনের ৯ দফা কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তারা। ৯ দফা কর্মসূচিরগুলো হলো:
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের সকল ক্লাশ বন্ধ থাকবে।
২। অনলাইন, সান্ধ্যকালীন ক্লাশ, শুক্র ও শনিবারের প্রফেশনাল কোর্সের ক্লাশ বন্ধ থাকবে।
৩। সকল পরীক্ষা বর্জন করা হবে। মিডটার্ম, ফাইনাল ও ভর্তি পরীক্ষাসহ কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
৪। বিভাগীয় চেয়ারম্যান বিভাগীয় অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ রাখবেন। একাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি, প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না।
৫। অনুষদের ডিনবৃন্দ ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন। নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহন করা যাবে না। কোন সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না।
৬। বিভিন্ন ইন্সস্টিটিউটের পরিচালকবৃন্দ ইন্সস্টিটিউটের অফিস, ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ রাখবেন। সান্ধ্যকালীন, শুক্রবার ও শনিবারের ক্লাশ বন্ধ থাকবে।
৭। বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকগণ কোন সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন।
৮। বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষগণ প্রাধ্যক্ষ অফিস বন্ধ রাখবেন।
৯। প্রধান গ্রন্থাগারিক কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী বন্ধ রাখবেন।