চবি শিক্ষকদের তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষক সমিতি। আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।
পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম আবু নোমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে প্রখর মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে সুযোগ সুবিধা রয়েছে এগুলো কমানো হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা কখনো এই পেশার দিকে আকৃষ্ট হবে না। মেধাবী শিক্ষার্থীরা যদি এ পেশায় না আসেন, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মেধাবী হিসেবে বেড়ে উঠবে না।
চবি ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী বলেন, শিক্ষকদের প্রাপ্য পেনশন থেকে বঞ্চিত করে সার্বজনীন পেনশনের আওতায় নিয়ে আসা একটি গভীর চক্রান্তের ফসল। এ স্কিম চালু হলে আগামীতে মেধাবীরা এ পেশায় আসতে অনীহা প্রকাশ করবে। শিক্ষকদের এত এত কম সুবিধার মধ্যেও আমরা চাকুরি করে যাচ্ছি। কিন্তু এ প্রত্যয় স্কিম চালু হলে বর্তমান মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইবে না।
চবির আওয়ামীপন্থী হলুদ দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহামেদ শিক্ষকদের এই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষকরা এভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে থাকতে চান না। তারা গবেষণায় এবং ক্লাসে মনোযোগী থাকতে চান। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষকদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছিলেন তাদেরকে এখন নানানভাবে চক্রান্ত করে অসম্মানিত করা হচ্ছে। ক্লাস, গবেষণা বাদ দিয়ে তাদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। এটা ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্য যেমন ক্ষতি, তেমনি জাতির উন্নয়নের জন্যও অনেক বড় ক্ষতি। অতএব, পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনসহ শিক্ষকদের যেকোন যৌক্তিক দাবির পক্ষে বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ (হলুদ দল) সবসময় সোচ্চার ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।
চবির সাবেক সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, এক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নিয়ম এটি কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। আমরা আইনের দ্বারস্থ হতে চাই না৷ এর আগেই সরকার পদক্ষেপ নিবে এমন প্রত্যাশা রাখি।