১০ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:০১

‘২১ শে আগস্ট মামলার রায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

  © ফাইল ফটো

বহুল আলোচিত একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ঘোষিত রায়কে রাজনৈতিক অপকৌশল আখ্যা দিয়ে এই রায়কে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব)।  আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে একথা বলা হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, এই মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ অন্য নেতাদেরকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই জড়ানো হয়েছে।  অথচ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নিজেও সাক্ষ্য দেয়ার সময় তারেক রহমান বা বিএনপির কোনো নেতার নাম পর্যন্ত বলেননি। ২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিকে হেয়, ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অবসরপ্রাপ্ত ও বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দকে চাকুরিতে পুনরায় নিয়োগ দিয়ে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করার মাধ্যমে এটিকে একটি রাজনৈতিক মামলায় রুপান্তরিত করে। এই রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার নগ্ন প্রকাশ।  রায় নিয়ে ইতিমধ্যে জনমনে প্রশ্নের অবতারণা হয়েছে। আমরা আমরা আশা করি আসামিরা আপিলে নির্দোষ প্রমাণিত হবেন এবং খালাস পাবেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ইউট্যাবের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ড. ফরিদ আহমেদ, অধ্যাপক ড. আবদুর রশিদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম মজুমদার, অধ্যাপক সৈয়দ আবুল কালাম আযাদ, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক এম ফরিদ আহমেদ, ড. গোলাম রব্বানি, ড. মাহফুজুল হক, ড. সিদ্দিক আহমদ চৌধুরী (চবি), ড. এম এ বারি মিয়া, অধ্যাপক খায়রুল (শাবিপ্রবি), ড. শামসুল আলম সেলিম (জাবি), ড. সাব্বির মোস্তফা খান (বুয়েট), অধ্যাপক তোজাম্মেল (ইবি) প্রমুখ।

উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে আজ বুধবার। রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিদেশে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানসহ ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে।