শিক্ষক রাজনীতি বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার
দেশের বেসবকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের রাজনীতির বাইরে রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার। এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরী করতে শিক্ষামন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দেশের শিক্ষার মানকে সমৃদ্ধ করতে এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশকে আরো যথাযথ করে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়েছেন।
গত ২৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের চাকরি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো বিধি-বিধান না থাকায় তারা অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়ায় সার্বক্ষণিক রাজনীতি করেন। ফলে তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনায় ততটা আগ্রহী হন না। মাঠ পর্যায়ে এসব শিক্ষকের চাকরি নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় দুরূহ হয়ে পড়ে।
সুত্র জানায়, রাজনীতিক দলের বড় বড় পদধারী নেতারা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। এতে করে এসব শিক্ষকরা পাঠদানে ঠিকভাবে মনোযোগ দিতে পারছেন না। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ব্যহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রওনক মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার নাম উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছে। এছাড়া আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনেক শিক্ষক বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠ দানে সমস্যা তৈরি হতে পারে। সেই চিন্তা মাথায় রেখেই সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে।
জানা যায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রণালয় আইনের সারসংক্ষেপসহ চূড়ান্ত করা এ সংক্রান্ত নীতিমালার একটি খসড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছেন । আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই এ বিষয়ে নীতিমালা তৈরি করা হবে।