আসিফ মাহতাবকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বপদে বহাল চায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান বলেছেন, ফিলোসফির খণ্ডকালীন লেকচারার আসিফ মাহতাবকে শিক্ষকতার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। আজ সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক নাছির উদ্দীন খান বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক স্বাধীনভাবে একটি দেশের সংবিধান বিরোধী ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতেই পারে। সামাজিক, ধর্মীয় ও মানবতাবিরোধী বিষয়ে কথা বলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা শিক্ষক সমাজের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। অনতিবিলম্বে তাকে স্বপদে বহাল করার পাশাপাশি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জাতি কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুস সবুর, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক মু আল আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহসিন ভুইঁয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) কে এম জাহিদ তিতুমীর, কেন্দ্রীয় সদস্য আমীর হোসাইনসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলবৃন্দ।
এর আগে, গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত ‘বর্তমান কারিকুলামে নতুন পাঠ্যপুস্তক: বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এই সেমিনারের আয়োজন করেছিল।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে। এসময় তিনি এই পাঠ্যবই থেকে ‘শরীফ’ থেকে ‘শরীফা’ হওয়ার গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসিফ মাহতাবের এমন কর্মকাণ্ড ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে।