‘পদত্যাগ না করলে গোপালগঞ্জের ভিসির মতো ধানের ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে যেতে হবে’

অবস্থান কর্মসূচিতে চবি অধ্যাপক

অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি
অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও শিক্ষক সমিতির অবস্থান কর্মসূচি  © টিডিসি ফটো

আপনি (অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পা ধরে ভিসি হয়েছেন। সসম্মানে পদত্যাগ করুন নতুবা গোপালগঞ্জের ভিসি (বশেমুরবিপ্রবির সাবেক ভিসি নাসির) যেভাবে ধানের ক্ষেত দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল, আপনাদের ক্ষেত্রেও সেটাই হবে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে এ কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর।

আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের এ অবস্থান কর্মসূচি করেন শিক্ষক সমিতির নেতাসহ প্রশাসন বিরোধী প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

অবস্থান কর্মসূচিতে অধ্যাপক ড. মু. গোলাম কবীর বলেন, সাদা দল থেকে নির্বাচিত লোকদের উপাচার্য গবেষণা এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর বানিয়েছেন। তিনি জামায়াত-শিবিরের লোক। তিনি জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আপনি মুখে বঙ্গবন্ধুর কথা বলেন। আপনি আওয়ামী লীগ বানানোর সার্টিফিকেট দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ বানানোর কারখানা তৈরি করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কথা বলেন কিন্তু আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যখন গ্রেফতার হয়েছিলেন তখন আমরা সিগনেচার সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন জনের কাছে  গিয়েছিলাম কিন্তু এই প্রো- ভিসি বলেছিলেন আমি আওয়ামী লীগ করিনা। এটা কেমন কথা?

তিনি আরও বলেন, যত আওয়ামী লীগের লোক সব এখানে (অবস্থান কর্মসূচি) বসে আছেন। আমি দেখেছি এখানে যারা বসে আছেন ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কত কষ্ট করেছেন। উনাকে (উপাচার্য) কখনো দলের মিটিংয়েও দেখিনি। উনি শেখ হাসিনার পা ধরে ভিসি হয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত টাকা পয়সা সংক্রান্ত দুর্নীতি ওনি একটারও তদন্ত করেন না। তাই বলছি আপনারা সসম্মানে পদত্যাগ করে চলে যান। তা-না হলে আপনাদের অবস্থা গোপালগঞ্জের ভিসির মতো হবে। 

উল্লেখ্য, পরিকল্পনা কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে চবির আইন ও বাংলা বিভাগে ৯ জন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতির একাংশ। প্রথমে নিয়োগ বোর্ড বাতিলের দাবি জানালেও বর্তমান উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি করছে শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ। 


সর্বশেষ সংবাদ