নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৫৪ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১১ PM , আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫১ PM
আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করে দেশে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করে ‘ঘোলাজলে মাছ শিকারের জন্য’ দেশি-বিদেশি মহলের অপতৎপরতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ১৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। সেইসঙ্গে অতীতের মতো নির্বাচন বানচালের সব ধরনের অপচেষ্টা মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে শিক্ষক, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট নাগরিকদের পক্ষে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন শিল্পী অধ্যাপক নিসার হোসেন। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব জানানো হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী হিসেবে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন এশিয়াটিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ, শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা, অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডা. নুজহাত চৌধুরী, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য প্রমুখ।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ভিত্তি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র এবং সমতা। পাকিস্তানের পরাজিত শক্তি সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের মৌলচেতনাকে পদদলিত করে অবৈধ পথে ক্ষমতায় এসেছে এবং এখনো আসতে চাইছে। গণতন্ত্রের আবরণ অঙ্গে ধারণের চেষ্টা করলেও এরা এদের আসল চেহারা ঢেকে রাখতে পারেনি। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে যেভাবে এরা অগ্নিসন্ত্রাস আর ধ্বংসযজ্ঞে লিপ্ত ছিল, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে একইভাবে গুপ্তঘাতক চক্রের ন্যায় এরা গোপন স্থান থেকে হরতাল অবরোধের নামে সাধারণ মানুষের জানমাল, গণপরিবহন, ট্রেন ইত্যাদির ওপর চোরাগোপ্তা হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রেখেছে।
আরও বলা হয়েছে, বিদেশি সাহায্যনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভরতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই মুহূর্তে বিদেশি শক্তির দোসররা অর্থনীতি ধ্বংসের মরণখেলায় মেতে উঠেছে। যারা নাশকতা করছে, তারা চিহ্নিত অপশক্তি।
সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, চিহ্নিত এই দানবদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে তাদের ওপর অর্পিত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে দৃঢ়তার পরিচয় দেওয়ার প্রত্যাশা করা হয়।
সরকার ও নির্বাচন কমিশন মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অবাধ ও প্রভাবমুক্ত পরিবেশ সুনিশ্চিত করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভোটারদের প্রতি সনির্বন্ধ আহ্বান, বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনাসহকারে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন এবং আপনার পছন্দের সরকার গঠনে ভূমিকা রাখুন।