১৩ নভেম্বর ২০২৩, ১৭:৫৯

জাবির শিক্ষক নিয়োগে ‘পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের’ নিন্দা ঐক্য পরিষদের

  © সংগৃহীত

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) সিনেট নির্বাচনকে ঘিরে একটি প্যানেলের সমর্থনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যগণ কর্তৃক পক্ষপাতদুষ্ট কার্যক্রম পরিচালনা করায় ৭ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। এর আগে ১২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণে উপাচার্য বরাবর এক স্মারকলিপিতে এসব দাবি পেশ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ঐক্য পরিষদ।

দাবিগুলো হলো, মেয়াদোত্তীর্ণ পর্ষদগুলোর মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণের সময় ও কর্মপরিধির গুরুত্ব বিবেচনায় ডিন ও সিন্ডিকেট নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরী বিধায় ডিন এবং সিন্ডিকেট নির্বাচনের আগে সকল প্রকার নতুন নিয়োগ বন্ধ করা। বিভাগের প্রয়োজন না থাকলে কেবল দল ভারি করার জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যাবেনা। অতি সত্বর পূর্বের ন্যায় বয়োজ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণকে সিলেকশন বোর্ডের সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দিতে হবে। জীববিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, আইন অনুষদ, আইবিএ ও আইআইটির শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যক অবকাঠামোগুলো অতি দ্রুত নির্মাণের উদ্যোগ নিতে হবে। অস্থায়ী পদে কর্মরত সম্মানিত সহকর্মীগণকে দ্রুত স্থায়ী পদে পদায়ন করতে হবে ও পূর্বের ন্যায় শর্ত পূরণের দিন থেকেই স্বীয়-পদে স্থায়ীকরণ করতে হবে। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে যৌন নিপীড়নের সকল অভিযোগের নিষ্পত্তি করতে হবে এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একদল উশৃংখল শিক্ষার্থীর অযাচিত ও নজিরবিহীন হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আওয়ামীপন্থী শিক্ষক অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, সিন্ডিকেটে সম্মানিত শিক্ষকগণের প্রতিনিধিত্ব পূর্ণভাবে নিশ্চিত না হওয়া অবধি নতুন শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত রাখতে অনুরোধ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে অধ্যাপক পদ ব্যতীত ডিন, প্রভোস্ট, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক পদে শিক্ষকগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি নেই। অধ্যাপক পদে নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকলেও দীর্ঘদিন হলো তাঁর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে।  

তিনি বলেন, এই অপূর্ণাঙ্গ ও মেয়াদোত্তীর্ণ সিন্ডিকেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা অধ্যাদেশ ১৯৭৩-এর চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই বিষয়ের অনুমোদনসহ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিন্ডিকেটে সম্মানিত শিক্ষকগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি থাকা বাঞ্ছনীয়।

উল্লেখ্য, এসময় স্মারকলিপিতে শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন, অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুল আলম, অধ্যাপক ড. এনামুল্যা, অধ্যাপক ড. মোঃ সোহেল রানা, অধ্যাপক ড. খোঃ লুৎফুল এলাহী, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মোতাহার হোসেন।