০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:৫৪

বিএনপির অবরোধের প্রতিবাদে চবির প্রগতিশীল শিক্ষকদের মানববন্ধন

মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা, দেশব্যাপী অগ্নি-সন্ত্রাস ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ঘণ্টা-ব্যাপী মানববন্ধন করেন প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক।

সঙ্গীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৌশিক আহমেদের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শ্যামল রঞ্জন চক্রবর্তী, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক আলী আজগর চৌধুরী।

আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক সুলতানা সুকন্যা বাশার, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. শেখ সাদী, ফিশারিজ বিভাগের ড. শহিদুল আলম শাহীন, ওশানোগ্রাফি বিভাগের ড. ওয়াহিদুল আলম ও এনামুল হক নীল, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এ.কে.এম. জিয়াউর রহমান, রসায়ন বিভাগের ড. ফণি ভূষণ বিশ্বাস, ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের সাখাওয়াত হোসেন, ইতিহাস বিভাগের দেবাশীষ প্রামাণিক, মনোবিজ্ঞান বিভাগের অলি আহমদ পলাশ ও ফারসি বিভাগের আলতাফ হোসেন।

হলুদ দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক সেকান্দর চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার হাত ধরে ইতিহাসের এক বিস্ময়কর উন্নয়নের ধারায় পৌঁছেছি আমরা। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনাকে সরানো সম্ভব নয়। তাই বিএনপি-জামায়াত তাকে নির্মুল করতে মাঠে নেমেছে, যেমন করেছিল বঙ্গবন্ধুকে।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নানা অজুহাতে বর্তমান সরকারকে উৎখাত করতে চায়। তারা অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নৌঘাঁটি স্থাপন ও দেশের খনিজ সম্পদ লুট করতে চায়। তারা নিজেদেরকে গণতন্ত্রের অভিভাবক দাবি করে অথচ ফিলিস্তিনে নারী-শিশুদের ওপর নির্মমতা দেখে না। উলটা ইসরায়েলকেই সামরিক সহযোগীতা করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একাত্তরে যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে তাতে আমরা যোগদান করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের সামনে আরেকটা মুক্তিযুদ্ধ আছে, সেটা হলো শেখ হাসিনা ও গণতন্ত্রকে রক্ষা করা। কারণ জামায়াত-বিএনপি আবার পাকিস্তানি ধারায় ফিরে যেতে চায়।