এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে
নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা জানান, ২০২১ সালে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়। তবে ২০২২ কোনো আবেদন নেওয়া হয়নি। ২০২৩ চলে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নতুন এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হচ্ছে না। ২০২৩ সালে যদি আবেদন না নেওয়া হয়, তাহলে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ দীর্ঘ ২০-২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে কেউ চাকরি করতে পারেন না।
তারা জানান, গত ১৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকা চাঁদপুরে নন-এমপিও শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা চিন্তা করে বিশেষ বিবেচনায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছেন। গত ১৭ অক্টোবর বিশেষ বিবেচনায় আরো ৯১টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। আমরা মনে করি, দেশের সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবক শিক্ষামন্ত্রী। তাই নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের সীমাহীন কষ্টের কথা চিন্তা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর সব শর্ত শিথিল করে বিশেষ বিবেচনায় স্বীকৃতিপ্রাপ্ত চলমান সব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্ত করা হোক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী পরিষদের আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. দবিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মনিমুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, ফরহাদ হোসেন বাবুল, অধ্যক্ষ ইমরান বিন সোলায়মান, মো. জহুরুল ইসলাম রাজু, এরশাদুল হক, অধ্যক্ষ বাকী বিল্লাহ, অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ আলতাব মাহমুদ, অধ্যক্ষ নাজমুস সাহাদাত আজাদী, অধ্যক্ষ সাবিনা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, হাবিবুর রহমান বাবুল, বাবুল আক্তার, মো. নাইম হোসেন, মো. শহিদুল্লাহ, সুপার তরিকুল ইসলাম, প্রভাষক নুরুল আমিন নওয়াব, খায়রুল ইসলাম, প্রভাষক শামসুন্নাহার, প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন খান প্রমুখ।