০১ অক্টোবর ২০২৩, ২১:২৫

ঢাবি অধ্যাপক মেজবাহ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার: ইউট্যাব

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম পদাবনতি দেওয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে মন্তব্য করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। আজ রবিবার বিকেলে ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়।

বিবৃতে বলা হয়, তথাকথিত অসদাচরণ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী অভিযোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পদাবনতি দিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়েছে এটা অত্যন্ত ন্যাকারজনক ঘটনা।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ-উল-ইসলাম একজন পরিচিত ও খ্যাতিমান শিক্ষক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়ম-কানুন মেনেই অধ্যাপক হয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মারধরের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর ও নিন্দনীয়। এ কথা সকলের কাছে অবিশ্বাস্য যে একজন অধ্যাপক আরেকজন সহকর্মীর গায়ে হাত তুলতে পারেন। তবে এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী একজন শিক্ষক। তিনি ভিন্নমত ধারণ ও বিশ্বাস করেন বলেই তার বিরুদ্ধে এ ধরনের হীন ও জঘন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: সহকর্মীকে পিটিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপকে পদাবনতি ঢাবি শিক্ষকের

তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্ষমতাসীন দলের শিক্ষকবৃন্দ বড় ও ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করলেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এখন ২০১৮ সালের একটি তথাকথিত ভিত্তিহীন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রায় ৫ বছর পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পদাবনতির ঘটনা উদ্বেগজনক। অতএব শিক্ষক সমাজ মনে করে যে, তথাকথিত এবং অবিশ্বাস্য অভিযোগে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামকে পদাবনতি দেওয়াটা কেবলই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনায় হতবাক এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে অবিলম্বে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মেজবাহ্-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে যে বেআইনী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা প্রত্যাহার এবং তাকে স্বপদে বহাল রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই ।

উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাপক মেজবাহ্-উল-ইসলামকে একই বিভাগের আরেকজন সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে পদাবনতি দিয়ে অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পদাবনতির শাস্তি পাওয়া শিক্ষক অধ্যাপক মেজবাহ্-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ এক সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের কাছে ওই ঘটনার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।