পত্রিকায় কলাম লিখে ঢাবি থেকে শুধু আমিই চাকরিচ্যুত হয়েছি: অধ্যাপক মোর্শেদ
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে পত্রিকায় কলাম লিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান। তিনি বলেছেন, আমার ওপর কি মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে তা অনেকেই জানেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কলাম লেখার কারণে কাউকে চাকরিচ্যুত করা হয়নি, শুধু আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও বিএনপিপন্থী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ইউট্যাবের কেন্দ্রীয় মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন।
সমাবেশে তিনি বলেন, আমি শুধু লিখেছিলাম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। এ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করেছে।
“আমার স্ত্রী ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও আমাকে এক দিনের নোটিশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমার মামলা চলমান। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাকে বাসা থেকে বের করে দিতে পারে না।”
আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি আরও বলেন, আমার একমাত্র মেয়ে স্কুলে গিয়ে তার বাবার পরিচয় দিতে পারে না। তাকে তার সহপাঠীরা প্রশ্ন করলে সে বলতে পারে না। বাসায় এসে আমাকে জিজ্ঞেস করে বাবা তুমি কী করো? কিন্তু আমি মেয়েটাকে বলতে পারি না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে সমাবেশ যৌথভাবে পরিচালনা করেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।