১৪ জুন ২০২৩, ২২:৪১

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

  © সংগৃহীত

নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরাম। আজ বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ধশতাধিক শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশগ্রহণ করে।

মানববন্ধনে বক্তারা সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদ জানান। একইসঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।

মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের আহ্বায়ক অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ কামরুল আহছান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি শুধু আমাদের দাবি একার না, এটি এখন দেশের সকল মানুষের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ বাতিল করেছে। এর মাধ্যমে তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারতো। কিন্তু তারা সেটা পরেনি। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় শুধুমাত্র ক্ষমতা ধরে রাখতে তারা এ নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার দাবি জানাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসান বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নির্বাচনগুলোর দিকে তাকালে আমরা আমাদের দেশের অবস্থা বুঝতে পারি। কোথাও গণতন্ত্রের চর্চা নেই৷ বর্তমানে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। বাংলাদেশের সংকট বিশ্ব সংকট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বর্তমান সময়ে আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার সমিতির সহ-সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপটি রেজিস্ট্রার (এস্টেট) আব্দুর রহমান বাবুল বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনোভাবে সুস্থ নির্বাচন হবে না। এই সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দিনের ভোট রাতে করেছে। এ দেশের মানুষ এখন তাদের ভোটাধিকার চায়। আজ দেশের মানুষের জেগে ওঠার সময় এসেছে। নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুস্থ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। 

সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক সোহেল রানা, অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. শাহাদাত হোসেন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক বোরহান উদ্দিন, শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপ-পরিচালক দেবব্রত পাল, কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আবদুর রহিম প্রমুখ।