জবি ছাত্রলীগের আনন্দ মিছিল
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবন কমিউনিটি ক্লিনিককে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় আনন্দ মিছিল করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। বুধবার (২৪ মে) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে পুরান ঢাকায় ঘুরে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে এই আনন্দ মিছিল শেষ হয়।
আনন্দ মিছিল শেষে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাস্থ্যকে এ দেশের নাগরিকের অন্যতম মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশের সব মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করেছিলেন, যা সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুফল পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটিয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় এসে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এই অনন্য চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পুণরায় ২০০৯ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে আবারও গণমানুষের এই চিকিৎসা সেবা চালু করেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু কন্যার মস্তিষ্কপ্রসূত কনসেপ্ট ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কিত একটি রেজল্যুশন পাশ হয়েছে। শেখ হাসিনার উদ্ভাবিত কমিউনিটি ক্লিনিক পেয়েছে বিশ্বস্বীকৃতি। সারা বিশ্ব এখন শেখ হাসিনার উদ্ভাবিত এই স্বাস্থ্যসেবাটি অনুসরণ করবে। জাতিসংঘের এই স্বীকৃতি অর্জনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে আমরা আনন্দ মিছিল করেছি। দেশ ও মানবতার কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান আজ দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেয়েছে, সারা বিশ্ব আজ দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু কন্যার মস্তিষ্কপ্রসূত কনসেপ্ট ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ নামে কমিউনিটি ক্লিনিক সম্পর্কিত একটি রেজল্যুশন পাশ হয়। শেখ হাসিনার উদ্ভাবিত কমিউনিটি ক্লিনিক বিশ্বস্বীকৃতি পেয়েছে।