ঢাবি শিক্ষক সমিতির সুরে এবার জবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতি
মহান স্বাধীনতা দিবসে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের নামে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। আজ রবিবার (২ এপ্রিল) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওই সংবাদপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে একই সুরে বিবৃতি দিয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। গত শুক্রবার (৩১ মার্চ) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওই সংবাদপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের সংবাদটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: ঢাবি শিক্ষক সমিতি
ঢাবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, করোনা এবং ইউক্রেন যুদ্ধের সংকট মোকাবিলা করে যে মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর সংবাদ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে, সেই মুহূর্তে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে সরকারের বিরোধিতার নামে রাষ্ট্রকে অকার্যকর করার অপচেষ্টা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং সেই সঙ্গে ওই সংবাদপত্রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে জবি শিক্ষক সমিতির বিবৃতিতে প্রতিবেদনটিকে সংবাদপত্রের নীতিমালা পরিপন্থি উল্লেখ করা বলা হয়, প্রতিবেদনটিতে মূলত একজন শিশুর ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। যে বক্তব্যে দেশের স্বাধীনতাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এছাড়া, ক্যাপশনে একজন দিনমজুরের বক্তব্য হিসেবে উক্ত মন্তব্য প্রকাশ করা হলেও ছবিতে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দেখা যাচ্ছে না। অন্য একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ওই শিশুকে তার দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে উৎকোচের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে ছবিটি তোলা হয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোনো কোনো মহল প্রচার করছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। যদিও বাস্তবতা হলো, প্রকৃতপক্ষে অসৎ উদ্দেশে উৎকোচ প্রদানের মাধ্যমে একজন শিশুকে সংবাদের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।