১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের ভয় থেকে এই হামলা-গ্রেপ্তার: ইউট্যাব

নয়াপল্টনে হামলা-সংঘর্ষের পর
নয়াপল্টনে হামলা-সংঘর্ষের পর  © সংগৃহীত

বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলা, একজন নিহত ও তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত এবং বিএনপির আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানিসহ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।

আজ বুধবার সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার যে ভয় পেয়েছে, মূলত সেই ভয় থেকেই জনগণের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পণ্ড করতে ও ভয়ভীতি দেখানোর জন্য এই হামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটিয়েছে। সমাবেশের তিন দিন আগেই এ হামলায় যে হতাহতের ঘটনার জন্ম দিল তার পুরো দায়-দায়িত্ব এই সরকার ও তার পুলিশ বাহিনীকেই নিতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, স্বাধীন দেশের রাজনীতিতে বিরোধী দলগুলো সভা-সমাবেশ ও মিছিল করবে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সেসব সমাবেশে নিরাপত্তা দেওয়া ও যাতায়াত সহজ করার দায়িত্ব কিন্তু সরকারের মৌলিক দায়িত্বের অংশ। কিন্তু যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মতো একটা রাষ্ট্রে দুঃখের সঙ্গে দেখছি যে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সাংবিধানিক, মৌলিক অধিকারকে নির্মমভাবে হরণ করেই যাচ্ছে। তারা বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশগুলোতে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিরোধী দলের সমাবেশকে ঘিরে তারা একটি উত্তেজনাপূর্ণ সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

ইউট্যাব নেতারা বলেন, স্বাধীনতার ৫২তম বছরে এসে বিরোধীদের সমাবেশ করার মতো স্বাভাবিক বিষয়কে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি করা হয়েছে, যেভাবে ধরপাকড়, হামলা-মামলা ও গুলি করে বিরোধী মতের নেতাদের হত্যা করা হচ্ছে তা অকল্পনীয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।

তারা বলেন, সভা-সমাবেশে বাধা দিয়ে, হামলা-আক্রমণ করে, জনগণের গণদাবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে অতীতে কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি এই সরকারও পারবে না। পুলিশ-প্রশাসনকে পেশাদার আচরণ বজায় রেখে সাংবিধানিক অধিকার সমুন্নত রাখতে আহ্বান জানাই। তা না হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের জনগণ আওয়ামী ফ্যাসিবাদি শাসনব্যবস্থাকে উৎখাত করবে বলে নেতৃদ্বয় মনে করেন।


সর্বশেষ সংবাদ