ছাত্রলীগ নেত্রী থেকে সহকারী জজ মিতু
বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের (বিজেএস) ১৪তম সহকারী জজ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেএস’র ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দ্বিতীয় হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুন নাঈম মিতু।
জাতীয় মেধায় দ্বিতীয় স্থান পাওয়া মিতু চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নয়ন-শুকা এলাকার মো. নাইমুল ইসলাম ও নাহিদা খাতুন দম্পতির বড় মেয়ে। মিতু ২০১৩ সালে নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও ২০১৫ সালে রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। এরপর ২০১৫-১৬ সেশনে রাবির আইন বিভাগে ভর্তি হন।
জান্নাতুন নাঈম মিতু জানান, পরিবার ও বিভাগের শিক্ষকেরা অনেক বেশি হেল্প করেছেন। প্রথমবর্ষ থেকেই একাডেমিক পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলাম। রেজাল্টও ভালো ছিল। বন্ধুরা উৎসাহ দিত। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের সামনে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।
এদিকে পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিতেও সক্রিয় রয়েছেন মিতু। তিনি রাবি ছাত্রলীগের আইন বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন।
মিতু জানান, ছোট থেকেই বিসিএস ক্যাডার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু একদিন ক্লাসে শিক্ষক একটি কেস পড়িয়েছিলেন। যার কাহিনীটা বেশ মর্মান্তিক ছিল। জাজমেন্টও চমৎকার ছিল।
মিতু আরও জানান, রায় শুনে মনে হয়ে ছিল সৃষ্টিকর্তার পরে জজ ছাড়া এ ধরনের জাজমেন্ট কেউ দিতে পারেন না। তখন থেকেই জজ হওয়ার জন্য উৎসাহ পাই।
কিভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেই ব্যাপারেও জানালেন তিনি। মিতু জানান, প্রথমবর্ষ থেকেই শিক্ষকরা যা পড়াতেন, সেইগুলো খুঁটিনাটিসহ পড়ার চেষ্টা করছি। আলাদাভাবে প্রস্তুতির জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান পড়েছি।
আরও পড়ুন : ৮ কিলোমিটার হেঁটে কলেজে যেতেন, সুযোগ পেলেন মেডিকেলে ভর্তির
মেয়ের এমন সাফল্যে খুশি মিতুর বাবা মো. নাইমুল ইসলাম। তিনি জানান, মেয়ে জাতীয় মেধায় সারাদেশে দ্বিতীয় হয়েছে। এর থেকে বড় খুশির সংবাদ আর কি হতে পারে। একজন আদর্শ বিচারক হিসেবে তাকে দেখতে চাই।
আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান জানান, দিনটি আইন বিভাগের জন্য আনন্দ ও গর্বের। আমাদের একই ব্যাচের তিন ছাত্রী যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছেন। যা প্রমাণ করে রাবির আইন বিভাগই সেরা। সবাইকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।’