মেডিকেলে চান্স পেয়েছি, কিন্তু পরিবারের পড়ানোর সচ্ছলতা নেই: জেলেপল্লীর মারুফা
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ এমবিবিএস পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ ভর্তি পরীক্ষার ফলে স্কোর ৭৪। সুযোগ পেয়েছেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির। বলছিলাম অদম্য তরুণী মারুফা খাতুনের কথা।
মারুফা সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা জেলেপল্লীর মো. আজিত বিশ্বাসের মেয়ে। বাবা মো. আজিত বিশ্বাস পেশায় মৎস্যজীবী। মা তাসলিমা বেগম গৃহিণী। তিন সন্তানের মধ্যে মারুফা বড়।
মারুফা খাতুন এ বছরের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে আর্থিক সংকটে থমকে গেছে মারুফার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন। পড়েছেন ভর্তি অনিশ্চিয়তায়।
মারুফা স্থানীয় শহীদ আলী আহম্মদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও তালা মহিলা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবারের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ৭৪ স্কোর নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : মেডিকেলে জাতীয় মেধায় দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ
মারুফার বাবা আজিত বিশ্বাস জানান, নদীতে মাছ ধরি। এ অল্প আয়েই পাঁচজনের কোন রকমে চলে যায়। মারুফার পড়ার খরচ দিতে কষ্ট হয়। এখন আবার ভর্তির খরচ, বই-খাতা কেনার খরচসহ সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টাকা প্রয়োজন। কিভাবে এতো টাকা একসঙ্গে জোগাড় করবো, তা বুঝতে পারছি না।
মা তাসলিমা বেগম জানান, মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। শুনেছি ডাক্তারি পড়তে অনেক টাকার দরকার হয়। আমার মেয়ে মারুফা ভর্তি হতে পারবে কিনা, তা না জানি না। তবে অনেকেই সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
মারুফা খাতুন জানান, অনেক কষ্ট করে পড়াশোনা করেছি। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। ভর্তির রেজাল্টে নাম এসেছে। কিন্তু আমাকে মেডিকেলে পড়ানোর মতো আর্থিক সচ্ছলতা আমার পরিবারের নেই।
তালা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম জানান, তালা মহিলা কলেজের কৃতি ছাত্রী মারুফা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। তবে তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। মেয়েটা খুবই মেধাবী। আমাদের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। পাশাপাশি অন্যদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।