অভাবী জীবন থেকে ব্যাংকের সিইও ঢাবি শিক্ষার্থী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে মাস্টার্স পাস করেন ভারতের ত্রিপুরার চন্দ্র শেখর।পড়ালেখার পাশাপাশি সংসারের বাড়তি আয়ের জন্য চন্দ্র শেখর ছোটবেলা থেকেই কাজ করতেন তার বাবার দোকানে। অর্থের অভাবে এক সময় আশ্রমের খাবার খেয়েই দিন কাটিয়েছেন তিনি। এলাকার শিশুদের পড়িয়ে তিনি তার পড়াশোনার খরচ চালাতেন।
১৯৬০ সালে ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় জন্মগ্রহণ করেন চন্দ্রশেখর ঘোষ। বর্তমানে তিনি বন্ধন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। তবে তার এই বেড়ে ওঠার জীবন ভরা ছিল সংগ্রামের গল্পে, কষ্টের সঙ্গে চলার গল্পে।
আরও পড়ুন: উপাচার্যদের সভায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়নি
চন্দ্র শেখেরের বাবা হরিপদ ঘোষ ছিলেন দোকানদার। তার ছিল একটি মিষ্টির দোকান। দীর্ঘদিন ধরে ঘোষ পরিবারের খরচ চলত তার মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বেতনের একটি কাজ থেকে। খুব কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে সংগ্রামে সঙ্গে চলতে হয়েছে তাকে। এর পর ১৯৯০ সালের শেষে দিকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন আলাদা করে নতুন কিছু করার।
ভারতের কলকাতায় ২ লাখ রুপি ও ৩ কর্মী নিয়ে ২০০১ সালে চন্দ্র শেখর চালু করেন বন্ধন কন্যাগার। তারা কাজ শুরু করেন দরিদ্র মানুষের জন্য ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প নিয়ে। ২০১৪ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে লাইসেন্স পেয়ে ২০১৫ সাল থেকে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে বন্ধন ব্যাংক। ভারতের ইতিহাসে এটিই প্রথম যে, একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার ব্যাংকিং লাইসেন্স পাওয়ার ঘটনা। বন্ধন একটি মাইক্রোফিনান্স প্রতিষ্ঠান। এই ব্যাংক ভারতের গ্রাম ও শহরের দরিদ্র লোকদের ঋণ দেয়। তবে তাদের প্রথম অগ্রাধিকার হলো নারীদের ক্ষমতায়নের জন্য ঋণ দেওয়া।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় মেয়াদে কাউকে ভিসি নিয়োগ না দেওয়ার সুপারিশ
বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে মাস্টার্স পাস চন্দ্র শেখর। এর পর তিনি যুক্ত হয়েছিলেন বিখ্যাত এনজিও ব্র্যাকের সঙ্গে। বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এ ছাড়া ফোর্বস এন্টারপ্রেনার উইথ সোশ্যাল ইমপেক্ট, লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন টু দি মাইক্রোফাইন্যান্স সেক্টর বাই অ্যান ইনডিভিজুয়াল, বিজনেস ওয়ার্ল্ড মেঘনা অ্যাওয়ার্ড, ব্যাংকার অব দ্য ইয়ারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি।