যেভাবে ফেসবুকের বড় কর্মকর্তা যশোরের গৌরব দিয়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫২ PM , আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০১:১২ PM
যশোরের গৌরবের ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে অন্যতম একটি প্রাপ্তি। এসেছে সাবহানাজ রশীদ দিয়ার হাত ধরে। জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। যশোরের মেয়ে দিয়া এখন ফেসবুকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর ইউনিয়নের লাউখালি গ্রামের মেয়ে দিয়া। তার পিতা জনপ্রিয় কার্ডিওলজিস্ট, সমাজসেবক ও ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের সিইও অধ্যাপক ডাক্তার এম এ রশীদ। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ফেসবুকের বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স অফিসার হিসেবে কাজ করছেন তিনি।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের আঞ্চলিক সদর দপ্তরের সাথে এক অনলাইন বৈঠকে যোগ দেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার। ভার্চুয়াল সেই অনুষ্ঠানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ দিয়াকে বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন।
দিয়া একজন টেকনোলজি পলিসি এবং গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট। পলিসি রিসার্চ, ডিজাইন এবং ইমপ্লিমেন্টেশনে ১৫ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কাজ করেছেন দক্ষিণ এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আমেরিকায়। টুইটার ও গুগলে কাজ করারও অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
বাংলাদেশে ওয়ান ডিগ্রি ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন তিনি। জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড ফর ইয়ং উইমেন ইন পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, ইয়ুথ অ্যাকশন নেট লরিয়েট গ্লোবাল ফেলো, ওয়ান ইয়ং ওয়ার্ল্ড অ্যাম্বাসাডর টু বাংলাদেশ, অশোকা ফেলো, দ্য এশিয়া ২১ ইয়ং লিডার এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ইয়ং লিডার ইন পলিটিকস অ্যান্ড নিউ মিডিয়াসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা রয়েছে দিয়ার ঝুলিতে।
এ ছাড়া ২০১০ সালে আলোকচিত্রী হিসেবে লাভ করেছিলেন মেমোরি অব আলেক্সান্ড্রা বুলাটের ফাউন্ড্রি ফটোজার্নালিজম স্কলারশিপ। দেশের প্রথম স্টার্টআপ হ্যাকাথন ও প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজনের মাধ্যমে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন সফল এ নারী।
দিয়া বাংলাদেশ ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন। আইইউবি থেকে অর্থনীতি, যোগাযোগ এবং চলচ্চিত্র বিষয়ে স্নাতক পাস করেন তিনি। এরপর স্কলারশিপ নিয়ে চলে যান যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ায়। সেখানে ডাটা সায়েন্স এবং প্রযুক্তি বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
সিঙ্গাপুরের অফিস থেকেই বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন তিনি। কনটেন্ট বিষয়ক যেকোনো সমস্যা দ্রুত সমাধান করা তার কাজ। বাংলাদেশ অ্যাফেয়ার্স দেখাশোনার জন্য এ প্রথম কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।