এভারেস্ট ও লোৎসের চূড়ায় পৌঁছাতে পারবো, আত্মবিশ্বাসী ছিলাম: বাবর
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘এভারেস্ট’ ও চতুর্থ সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ‘লোৎসে’ জয় করে দেশে ফিরেছেন চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলী। বাবরের নিজ শহরে আসার খবর শুনে উচ্ছ্বসিত চট্টগ্রামবাসী।
বাবর সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস ছিল এভারেস্ট ও লোৎসের চূড়ায় পৌঁছানোর পর আবার দেশে ফিরে আসব। সেটিই হলো। দীর্ঘ প্রশিক্ষণ, প্রচেষ্টা, আকাঙ্ক্ষা— সবই পূরণ হলো। দেশের মানুষ যেভাবে উৎসাহ জুগিয়েছে, এতে আমি আনন্দিত।’
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত সোয়া ১০টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে তাকে বিমানবন্দরে উঞ্চ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এর আগে, বিকালে নেপাল থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এরপর নিজ শহর চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন বাবর। রাতে চট্টগ্রামে পৌঁছান। তবে বিকাল সাড়ে ৫টায় আসার কথা থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে নেপাল থেকে দেশে ফিরতে দেরি হয় ডা. বাবর আলীর।
অভিযানের সমন্বয়ক ফারহান জামান বলেন, বাবর আলীর মা-বাবা এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের আবদার রক্ষার্থে আমরা ৩ জুনের পরিবর্তে আজই তাকে দেশে ফিরিয়ে এনেছি। বাবর আলী আগামীকাল বুধবার (২৯ মে) সকাল ১১টায় চট্টগ্রামের চকবাজার আলিয়াঁস ফ্রঁসেজ দ্য, চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এরপর ২ জুন বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকা থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত বাইসাইকেল র্যালির মাধ্যমে তার এভারেস্ট জয় উদযাপন করা হবে। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে তিনি এভারেস্ট ও লোৎসে জয়ের গল্প শুনাবেন।
গত ২১ মে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে লোৎসে পৌঁছান তিনি। এর আগে ১৯ মে পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন তিনি। এদিন বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৯টা এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন বাবর।
জানা গেছে, এমবিবিএস পাশ করা বাবর পেশা হিসেবে ডাক্তারিতে থিতু হননি। পড়াশোনা করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন তিনি। সাইক্লিংয়েও রয়েছে তার আলাদা আগ্রহ।