বুয়েটে দ্বিতীয় হওয়া হাবিবুল্লাহ ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায়ও দ্বিতীয়

হাবিবুল্লাহ খান
হাবিবুল্লাহ খান  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন হাবিবুল্লাহ খান। তিনি এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষায় ২য় হয়েছেন। নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পাস করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরি ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

হাবিবুল্লাহ খান নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলা শুনই ইউনিয়নের গোয়াতলা গ্রামের  আব্দুল আজিজ খানের নাতি এবং মো. আবদুল মান্নান খান ও হাবিবা সরকার দম্পতির একমাত্র সন্তান।তবে হাবিবুল্লাহর পরিবার রাজধানীর পল্লবী এলাকায় বসবাস করেন। বাবা আবদুল মান্নান খান আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। আর মা স্নাতকোত্তর করা হাবিবা সরকার সংসার সামলান।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুল্লাহ শহিদ বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট আনোয়ার গার্লস কলেজে নার্সারিতে ভর্তি হয়ে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়ে এসএসসি পাস করেন। এরপর নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তিনি ঢাকা বোর্ডে ২১তম হন। এর মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে এইচএসসি সহ সব পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পেয়ে বৃত্তি লাভ করেন হাবিবুল্লাহ।

এ বিষয়ে হাবিবুল্লাহ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন,আলহামদুলিল্লাহ! মহান আল্লাহর রহমতে নটরডেম কলেজ থেকে বুয়েট এবং ঢাবি ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছি। ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে এত নাম্বার আশা করিনি। সবকিছুর জন্য আলহামদুলিল্লাহ। 

তিনি আরো বলেন, সর্বদা একটি তত্ত্বের ভিতর এবং বাহিরগুলি বোঝার চেষ্টা করা আমাকে এই সাফল্য অর্জনে সহায়তা করেছে। আমি ঈশ্বরের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, আমার শিক্ষক, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং সর্বোপরি, আমার পিতামাতারা আমাকে যে সমর্থন দিয়েছেন তার জন্য আমি তাদের ছাড়া এখানে থাকতে পারতাম না।

আরো পড়ুন: ঢাকা বোর্ডে ২১তম, ঢাবিতে ৫ম হওয়া হাবিবুল্লাহ বুয়েটে দ্বিতীয়

নিজের সফলতার সূত্রের কথা বলতে গিয়ে হাবিবুল্লাহ খান বলেন, ‘একটি কথা আছে, পরিশ্রম করলে অবশ্যই ভালো ফল পাওয়া যায়। আমার ক্ষেত্রে এ কথাটিই প্রযোজ্য। এ ছাড়া আমার ওপর সৃষ্টিকর্তার রহমত ছিল। সেজন্য এমন ফলাফল করতে পেরেছি। পরিশ্রম ও নিজের প্রতি সৎ হলে সব কাজই সহজ হয় বলে তাঁর ধারণা।

এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম ৫ জনের ৫ জনই নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী।

বিজ্ঞান ইউনিটে মোট আসন ১ হাজার ৮৫১টি।  তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৫১টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭৭৫টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ