প্রত্যেক উপজেলায় টেকনিক্যাল কলেজ হবে: প্রধানমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৬:২১ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৫:৫১ PM
দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতেই সরকার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ স্থাপনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে ১০০টির কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া চারটি সরকারি মহিলা পলিটেকনিক ও ২৩টি বিশ্বমানের নতুন পলিটেকনিক স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত সাড়ে ৯ বছরে সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় ৫০০ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ইউনিভার্সিটি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতি ও সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর ডাবল শিফট।
সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আসনসংখ্যা ২৫ হাজার থেকে ১ লাখে উন্নীত করতে প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারি ৪৯টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে একটি করে ১০ তলা ভবন নির্মাণ, ওয়ার্কশপ-ল্যাব প্রতিষ্ঠা ও যন্ত্রপাতি স্থাপন এবং শিক্ষক-কর্মচারির প্রায় ৭ হাজার পদ সৃষ্টির জন্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, কি পেলাম, কি পেলাম না, তার চিন্তা না করে আগামী প্রজন্ম যেন সুন্দর জীবন পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের দেশকে আগে গড়ে তুলতে হবে। এ ক্ষেত্রে সকলকে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
আইডিইবির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদদক শামসুর রহমান। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানায় আইডিইবির তৈরি ‘মি. টিভেট’ নামের একটি রোবট। এ সময় রোবটটির সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সম্মেলনে এবারের প্রতিপাদ্য ‘টেকনিক্যাল ভোকেশনাল এডুকেশন ট্রেইনিং’। শনিবার শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তিনদিনের এ অনুষ্ঠানে দুটি আন্তর্জাতিক সেমিনারসহ ১৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিশ্বের সাতটি দেশের অতিথিসহ ছয় হাজারেরও বেশি আমন্ত্রিত অতিথি অংশ নেন।