বাবার স্বপ্ন পূরণ করেও তাকে বলতে পারেননি বিসিএস ক্যাডার শরিফুল
৪৩তম বিসিএসে কর ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। ছোটবেলা থেকে প্রফেসর পাড়া, তারাশ এবং সিরাজগঞ্জে থাকা হলেও তাঁর জন্মস্থান তারাশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের চক-কলামূলা গ্রামে। এ গ্রামের প্রথম বিসিএস ক্যাডারও তিনি।
শরিফুলের বাবা প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম গুল্টা বাজার দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তালম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বিসিএস ক্যাডার হবে। শরিফুল বলেন, বাবা বলতেন- ‘আমার হাত দিয়ে আমার কত স্টুডেন্ট বিসিএস ক্যাডার হয়ে আজ সিভিল সার্ভিসে। অথচ আমার নিজের কোনো ছেলে-মেয়েকে ক্যাডার হিসেবে দেখে যেতে পারলাম না।’
আরো পড়ুন: বাবার মতো শিক্ষক হতে চান ৪৩তম বিসিএসে সপ্তম শতভি
শরিফুলের ভাষ্য, ‘ভাগ্যের কি পরিহাস! আজ আমি বিসিএস ক্যাডার। কিন্তু আমার বাবা আর দুনিয়াতে বেঁচে নেই। বাবা বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতেন নিজের ছেলের সাফল্যের গল্প শুনে। ২০২৩ সালের ২৬ জুন আমি বাবাকে হারিয়েছি।’
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ৪৩তম বিসিএসের সার্কুলার হয়। এরপর প্রিলিমিনারি হয় ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর। পরের বছরের ২৪ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত হয় লিখিত। প্রিলি ও লিখিত পরীক্ষা শরিফুলের বাবা দেখে গিয়েছেন। তিনি বলেণ, বাবা প্রতিদিন কল দিয়ে খোঁজ-খবর নিতেন। কিন্তু চূড়ান্ত রেজাল্ট আর দেখে যেতে পারেননি। ফলাফলের দিন বার বার বাবার কথা মনে হচ্ছিল।