২৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৬:২০

জিপিএ-৫ পেলেন পুলিশ বাবার যমজ দুই মেয়ে, হতে চান উদ্যোক্তা

যমজ দুই মেয়েকে নিয়ে পুলিশ বাবার উচ্ছ্বাস  © টিডিসি ফটো

ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন জমজ দুইবোন ইয়ানা আনজুম ও ইয়াসনা আনজুম। দুইজনই পেয়েছেন জিপিএ-৫। তাদের বাবা মনির হোসেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। কাজ করেন ডিএমপির রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে। গর্বিত বাবার দুই মেয়ে বড় হয়ে হতে চান উদ্যোক্তা। তারা দুজনে দেশে কর্মসংস্থান তৈরি করে বেকারত্ব হ্রাস করতে চান।

ইয়ানা আনজুম ও ইয়াসনা আনজুম দুজনের জন্ম ঢাকাতেই। থাকেন রাজধানীর ওয়ারীতে। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরের লোহচংয়ে। তাদের মধ্যে ইয়ানা আনজুম বড় আর ইয়াসনা আনজুম ছোট।

ইয়ানা আনজুম বলেন, আমরা দুইজনই ভিকারুননিসা থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। আমরা দুজনেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছি। আমার এই সাফল্যের পেছনে আমার কলেজকে অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের এ সাফল্যে বাবা-মা অনেক সহায়তা করেছেন। বাবা-মায়ের কাছে আমরা ঋণী।

নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে ইয়ানা আনজুম বলেন, বড় হয়ে আমার অনেকগুলো স্বপ্ন রয়েছে। সেগুলো পূরণ করার চেষ্টা করবো। বড় হয়ে আমি উদ্যোক্তা হতে চাই। নারী উদ্যোক্তা হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। বেকারদের আমরা চাকরি দেব। বেকারত্ব কমিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করবো।

ইয়াসনা আনজুম বলেন, আমার রেজাল্টের জন্য আমি খুবই আনন্দিত। সামনে আরো ভালো রেজাল্টের প্রত্যাশা থাকবে। আজকের এই রেজাল্টের জন্য আমার কলেজ, বাবা-মা এবং শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, আজকের দিনটা আমার জন্য খুবই আনন্দের। আমি সবার কাছে দোয়া চাই, যেন ভবিষ্যতে আমি আরো ভালো কিছু করতে পারি। বড় হয়ে আমার বড় বোনের মতো আমিও উদ্যোক্তা হতে চাই। আমরা যমজ দুই বোন। আমাদের চিন্তাভাবনা একইরকম।

গর্বিত বাবা মনির হোসেন জানান, আমার দুই মেয়েকে নিয়ে আমি গর্বিত। তারা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করে এ সাফল্য পেয়েছে। আমরা যতই গাইডলাইন দেই না কেন, তারা যদি নিজেরা ভালোভাবে পড়াশোনা না করতো তাহলে আজকের এ রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, ভিকারুননিসা কলেজ বাংলাদেশের একটা সুনামধন্য কলেজ। এই কলেজে লেখাপড়ার কৌশল অত্যন্ত ভালো। এই কলেজের টিচাররা সবাই শিক্ষার্থীদের প্রতি আন্তরিক।

মেয়েদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে মনির হোসেন জানান, তারা চাকরি পেছনে ঘুরবে না। আমি তাদেরকে নারী উদ্যোক্তা বানাতে চাই। যাতে ওরা নিজেরাও জীবনে সফল হতে পারে, মানুষেরও কর্মসংস্থান করে দিতে পারে। সে ব্যাপারে আমি তাদের সব সময় পরামর্শ দিচ্ছি। তারাও এ ব্যাপারে অনেক আগ্রহী।