দ্বিধায় থাকলেও চেষ্টায় কমতি ছিলো না নাফিসের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০১:১২ PM , আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৩, ০২:১০ PM
উচ্চমাধ্যমিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাফিস উল হক ওরফে সিফাত। তিনি এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে। এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করার আগেই তিনি স্নাতকে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি)। বিষয়টি নিশ্চিত করে গত বুধবার নাফিসকে ইমেইল পাঠায় এমআইটি কর্তৃপক্ষ।
নাফিসের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের নওগাঁ গ্রামে। তবে নাফিস পরিবারের সাথে চাঁদপুর শহরে বসবাস করেন। তার বাবা-মা দুইজনই শিক্ষক। রয়মনেন নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজে শিক্ষকতা করেন বাবা মো. নাসির উদ্দিন মতলব। আর হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে শিক্ষকতা করেন মা কামরুন নাহার।
আরও পড়ুন: এমআইটিতে সুযোগ পাওয়া নাফিসকে শিক্ষামন্ত্রীর শুভেচ্ছা
চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন নাফিস। অল্প বয়স থেকেই গণিত অলিম্পিয়াডসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন তিনি। আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন।
নাফিস গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন ছিল কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমি সব সময় বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করতাম। এ ছাড়া আমি সব সময় বিখ্যাত ব্যক্তি ও গুণি স্যারদের অনুসরণ করতাম। কিন্তু আমি কখনোই নির্দিষ্ট করে এমআইটির জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। কারণ, অনেক ট্যালেন্টেড না হলে এমআইটিতে সুযোগ পাওয়া কঠিন। আমি এতটা কনফিডেন্টও ছিলাম না। তারপরও আমি ট্রাই করেছি, দেখি কী হয়। শেষ পর্যন্ত দেখলাম, আমি সত্যি সুযোগ পেয়েছি। এতে মনে করি, আমি অনেক লাকি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর হাতেগোনা এক বা দুজন এমআইটিতে পড়ার সুযোগ পান। এবার আমি সুযোগটি পেয়েছি। এতে আমি অবাক হয়েছি, আনন্দিতও হয়েছি। এ জন্য আমার মা–বাবা, আমার শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে কৃতজ্ঞ।
নাফিস আরও বলেন, আমার লাইফে কিছু মানুষের এবং স্যারদের অনেক কন্ট্রিবিউট বা অবদান আছে। তার মধ্যে বলব, মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার, কায়কোবাদ স্যার, সোহেল স্যার। তাঁদের সান্নিধ্যে থেকে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি, শিখতে পেরেছি। আমি সব সময় চেয়েছিলাম, স্যারদের মতো হই। কারণ, ছোটবেলা থেকে আমি বিভিন্ন অলিম্পিয়াডে অংশ নিতাম। ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিক্সে (আইওআই) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছিলাম।