হোমস্কুলিংয়ে অসন্তুষ্ট জার্মানির শিক্ষার্থীরা
করোনা সংকটে তরুণ শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে শিক্ষারসুযোগুলিতে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করছে। পোষ্টব্যাঙ্ক পরিচালিত এক জরিপে ৩৪ শতাংশ শিক্ষার্থী হোমস্কুলিংয়ে খুবই অসন্তুষ্ট বলে জানিয়েছে। সমীক্ষাটিতে অংশ নেয় ১৬ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিক্ষার্থীরা।
তবে জরিপে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের ৪৬ শতাংশ জানিয়েছে, তারা সন্তুষ্ট। আর মাত্র ১৩ শতাংশ জানিয়েছে হোমস্কুলিং- শিক্ষার দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থায় তারা খুবই খুশি। অন্যদিকে শতকরা সাত ভাগ শিক্ষার্থী স্কুলের অনলাইন শিক্ষা প্রোগ্রামে অংশই নেয়নি।
জার্মান শিশুদের স্কুলের প্রথমদিন উপহারসামগ্রী ভর্তি একটি ‘শুলট্যুটে’ বা ঠোঙা নিয়ে যেতে হয়। বাচ্চাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্কুলে শিশুটির ১২-১৩ বছর যাতে মধুর হয়, সে জন্যই সম্ভবত ঠোঙার মধ্যে বেশি করে মিষ্টি চকলেট ভরে দেওয়া হয়। সেই ঊনিশ শতক থেকেই এটা চালু রয়েছে।
এপ্রিল এবং মে মাসে প্রায় এক হাজার তরুণ-তরুণীকে নিয়ে করা এই সমীক্ষার ফলাফলে রাজ্যভেদে পার্থক্য দেখা গেছে৷ যেমন, জার্মানির পূর্বাঞ্চলে ৫১ শতাংশ ছেলে-মেয়ে ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থায় সন্তুষ্ট, অথচ দক্ষিণাঞ্চলে সন্তুষ্ট শতকরা ৬৪ ভাগ, পশ্চিমাঞ্চলে শতকরা ৫৮ ভাগ এবং উত্তরাঞ্চলে ৫৯ শতাংশ সন্তুষ্ট৷
এ সম্পর্কে পোস্টব্যাঙ্কের ডিজিটাল এক্সপার্ট টোমাস ব্রশ বলেন, ‘‘বেশিরভাগ শিক্ষার্থীতাদের স্কুলের অনলাইন শিক্ষার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও, এখনো আরো উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে৷ শিশু এবং তরুণদের জন্য সমসাময়িক আধুনিক ডিজিটালশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া অপরিহার্য ৷’’ [সূত্র: ডয়েচে ভেলে]