অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রগামী শিক্ষার্থীদের
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশই বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আসা। প্রতি সেমিস্টারে কয়েক হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী ভর্তি নেয় এসব বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফল সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া বিদেশী শিক্ষার্থীরা দেশটিতে প্রবেশ নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে অনলাইনেই বিদেশী শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু করে দেওয়ার চিন্তা করছে সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
জানা যায়, কভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অন্যান্য দেশের মতো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সব বিশ্ববিদ্যালয়। তবে প্রযুক্তিগত সুবিধা থাকায় অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিচ্ছে এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ফল সেমিস্টারে যারা পড়তে যাবেন তাদের ভিসা নির্ধারিত সময়ে হওয়া নিয়ে বেশ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশসহ অন্য দেশের যারা স্কলারশিপ নিয়ে বা অর্থসহ পড়তে যাবেন তাদেরকে বাংলাদেশে থেকেই অনলাইনে ক্লাস পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বেশির ভাগই যুক্তরাষ্ট্রের। তাই উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শীর্ষ পছন্দের তালিকায় রয়েছে দেশটি। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও। গবেষণার তথ্য বলছে, গত এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। বৈশ্বিক শিক্ষার্থী গমনের বিষয়ে প্রতি বছর ‘ওপেন ডোরস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন (আইআইই)। এ প্রতিবেদন তৈরিতে আর্থিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
‘ওপেন ডোরস ২০১৯’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ২০০ এর বেশি। যদিও ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার ৬১৯ জন। এ হিসাবে গত এক দশকে দেশটিতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী সংখ্যা তিনগুণের বেশি বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশী শিক্ষার্থী গমন বিষয়ে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ৮ হাজার ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত ছিল। যা এর আগের শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া অধ্যয়নরত মোট ৮ হাজার ২৪৯ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ হাজার ২৭৮ জনই স্নাতক পর্যায়ে পড়ে, যা ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের তুলনায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।