০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০৯:৫৭

আমেরিকায় গ্রিন কার্ডের অনুমোদন দ্বিগুণ করার প্রস্তাব আইনপ্রণেতাদের

আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাওয়া অনেকেরই স্বপ্ন  © ইন্টারনেট

আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের জন্য গ্রিন কার্ডের অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের জন্য যে সীমা রয়েছে তা উঠিয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে এসেছেন আইনপ্রণেতারা। দেশপিছু গ্রিণ কার্ডের ইস্যুর সংখ্যা দ্বিগুণ করার জন্য আমেরিকার সংসদের উভয় কক্ষেই বিল আনা হয়েছে। এ বিল পাশ হলে জনবহুল দেশগুলোর জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে নিয়ে আসবে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

স্থায়ীভাবে আমেরিকায় থাকা ও কর্মসংস্থানের জন্য গ্রিন কার্ড দিয়ে থাকে দেশটি। এজন্য এখন দেশ প্রতি ৭ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিন কার্ড ইস্যু করা হয়। এসীমা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের দুই কক্ষ- হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটে একটি বিল আনা হয়েছে। বিলের দেশপ্রতি গ্রিনকার্ড ইস্যু অন্তত ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন উত্থাপনকারীরা। সিনেটে বিলটি আনেন রিপাবলিকান সদস্য মাইক লি এবং ডেমোক্র্যাট সদস্য কমলা হ্যারিস।

এ বিল পাস হয়ে আইনে পরিণত হলে বিশেষত ভারত ও চিনের মতো জনবহুল দেশে অধিবাসীদের অল্প সময়ে গ্রিন কার্ড পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। ‘পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড’ হিসেবে পরিচিতি এ সংকান্ত একটি বিল আগের সপ্তাহেই হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসেও আনা হয়। এতে গুগলের মতো সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ও মার্কিন চেম্বার অফ কমার্স সমর্থন জানিয়েছে।

বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা এখন এইচ-ওয়ানবি ভিসায় আমেরিকায় চাকরি করতে যান। মূলত সিলিকন ভ্যালির তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মসংস্থান হলেও তার নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। তবে পরে তা বাড়াতে গিয়ে বর্তমান ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আমলে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে আবেদনকারীদের। এ অসুবিধা দূর করতে এবং আমেরিকার স্থায়ী নাগরিকত্ব ও যাবতীয় সুবিধা পেতে এইচ-ওয়ান ভিসায় কর্র্মরতরা গ্রিন কার্ড পেতে চান। তবে এজন্য অনেক আবেদনকারীর ১৫১ বছর পর্যন্ত লেগে যায়! অর্থ্যাৎ বেশি জনসংখ্যার দেশগুলোর জন্য এটি প্রায় অসম্ভব।

বিভিন্ন দেশের শিক্ষিত ও দক্ষ কর্মীদের আমেরিকান সংস্থায় কাজ করানোর জন্য এখন প্রতিবছর এক লাখ ৪০ হাজার গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়। নতুন বিল পাশ হলে এর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়ে যাবে।