কথা কাটাকাটি থেকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১০, বেইলি রোডে ভাংচুর
রাজধানীর বেইলি রোডে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনটির একাধিক কর্মী আহত হয়েছেন।
রোববার (২৮ আগস্ট) রাতে পল্টন থানা ও রমনা থানা শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত সোয়া ১০টার দিকে পল্টন থানা ছাত্রলীগের একদল কর্মী বেইলি রোডে সুইচ বেকারির সামনে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় সেখানে রমনা থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পল্টন থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা কামরুল গাজীকে মারধর শুরু করেন। তখন তার সমর্থকরাও হামলা চালায়। এ নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় সেখানে কয়েকটি দোকানের গ্লাস ও ফুটপাতের দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও সেখানে ছুটে যান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে কামরুলের অবস্থা গুরুতর। তাকে দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহম্মেদ উদ্ধার করে নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কামরুল জুবায়েরের সমর্থক। পাশাপাশি পল্টন থানা ছাত্রলীগের যে গ্রুপের সঙ্গে এই সংঘর্ষ বাধে, সেই গ্রুপটি দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসানের সমর্থক বলে পরিচিত।
কী নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে তা পুলিশ বা ছাত্রলীগের কেউই নিশ্চিত করেনি। তবে ছাত্রলীগের সূত্রগুলো বলছে, বেইলি রোড এলাকা রমনা থানার মধ্যে হলেও পল্টনের কাছাকাছি হওয়ায় এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলে আসছিল। এর জেরেই সংঘর্ষ হতে পারে।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, রাত দশটার দিকে বেইলি রোডে আড্ডা দেওয়াকে কেন্দ্র করে পল্টন থানা ও রমনা থানা শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।