বন্যার্তদের সহযোগিতা করায় ১১ ছাত্রদল নেতাকে শোকজ

ছাত্রদলের লোগো
ছাত্রদলের লোগো  © ফাইল ছবি

সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্যা কবলিতদের সাহায্যার্থে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কোষাগারে অর্থ জমা দেওয়ায় ১১ ছাত্রদল নেতাকর্মীকে শোকজ করেছে যশোর জেলা ছাত্রদল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে ছাত্রদলের অভিভাবক তারেক রহমান নির্দেশ দেন। নির্দেশনা মোতাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদল দেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা মেনে সেখানে অর্থ জমা দেয় যশোরের মনিরামপুর উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের আদেশ অমান্য করা হয়েছে মর্মে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের ১১ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার যশোর জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. মুনিরুজ্জামান জীবন স্বাক্ষরিত প্রথম নোটিশটি পাঠানো হয় মনিরাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. ওলিয়ার রহমান বরাবর। 

নোটিশে বলা হয়েছে, ‘‘আপনাকে বারবার অবহিতকরণ স্বত্বেও,আপনি আমাদেরকে কোনো ধরনের অবহিতকরণ ছাড়াই বন্যার্তদের সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী গৃহীত যশোর জেলা ছাত্রদলের ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সহায়তা করা থেকে বিরত থেকেছেন।
যেটা স্পষ্টতঃ সাংগঠনিক শৃংখলা লঙ্ঘন।

আপনার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে কেনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৩ দিনের মধ্য যশোর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. রাজিদুর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান বাপ্পির নিকট স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।’’

অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবার ১১ জনের নাম উল্লেখ করে একই ধরনের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে নোটিশে উল্লেখ করা ১১ জনকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে বন্যার্তদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসায় এমন নোটিশ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, ছাত্রদলের অভিভাবক তারেক রহমান ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা মেনেই তারা অর্থ জমা দিয়েছেন। সেখানে জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে এমন নোটিশ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এটি ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করবে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের এক নেতা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ছাত্রদলের অভিভাবক ও কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে তারা বন্যার্তদের সহযোগিতায় অর্থ জমা দিয়েছেন। এখানে জেলা ছাত্রদলকে অবহিত করার কিছু নেই। জেলা ছাত্রদলের এই নোটিশ ছাত্রদলের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করেছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।


সর্বশেষ সংবাদ