মামলার সাজা এড়াতে ছাত্রদল ক্যাডার হয়ে গেল সাংবাদিক
ছিলেন নব্বইয়ের দশকের ছাত্রদল ক্যাডার। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ৩০ বছর আগে খুন করেন এক যুবলীগ নেতাকে। ওই মামলায় যাবজ্জীবন সাজা হয় তার। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলেও অন্য এলাকায় গিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন বীরদর্পে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত সোমবার (৩০ মে) রাতে নগরের পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার শাহিদ ওরফে শহিদ (৫২) নগরের আকবরশাহ থানার শহীদ লেন এলাকার শামসুল হকের ছেলে। ১৯৯২ সালের ৩ জুলাই নগরের ডবলমুরিং থানার সবুজবাগ মসজিদের সামনে যুবলীগ নেতা জসীম উদ্দিন কাজলকে গুলি করে হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি তিনি। গত ২২ মার্চ এ মামলার রায়ে শহিদসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
হত্যার শিকার কাজলের ছোট ভাই রেজা উদ্দিন নয়ন বলেন, আমার ভাই যুবলীগের জনপ্রিয় নেতা ছিলেন। শহিদ তখন ছাত্রদল করত। পরবর্তী সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হয়। রাজনৈতিক বিরোধের কারণে শহিদের নেতৃত্বে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আমার ভাইকে খুন করেছিল।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালী উদ্দিন আকবর জানান, রায় ঘোষণার পর পলাতক শহিদের বাসার ঠিকানা অনুযায়ী গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠানো হয়। তবে গত কয়েক বছর ধরে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন। এ কারণে তাকে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে গত সোমবার রাতে আকবর শাহ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তিনি নিজেকে কথিত এমটিভি.নেটের সহসম্পাদক ও দৈনিক রূপালীর চট্টগ্রামের ব্যুরো প্রধান পরিচয় দেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ৩ জুলাই নগরীর ডবলমুরিং থানার সবুজবাগ মসজিদের সামনে যুবলীগের নেতা জসীম উদ্দিন কাজলকে গুলি করে খুন করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আদালত গত ২২ মার্চ রায় দেন। রায়ে শহিদসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।