বিএনপির সমাবেশস্থল ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে যা বললেন ইশরাক
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। গতকাল সোমবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সভায় সময় স্বল্পতার কারণে ভুল করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ও সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে বক্তব্য দিতে না দেওয়ার ঘোষণা আসে। বিষয়টি নানান মাধ্যমে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। নিজের ফেসবুক পেজ এ বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেন তিনি।
এক লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ আহ্বয়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা মহানগর বিএনপির যেকোনো অনুষ্ঠানেই প্রটোকল অনুযায়ী আমি বিভিন্ন সময় বক্তব্য দিয়ে আসছি। কিন্তু আজকের অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল ইসলাম প্রোগ্রাম চলাকালীন হঠাৎ করেই ঘোষণা দেন যে, সময় স্বল্পতার কারণে বেশকিছু নেতা-কর্মীকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দিতে পারছেন না। যারা বক্তব্য দিতে পারছেন না, তাদের মধ্যে আমার নামটিও তিনি ভুলবশত ঘোষণা করেন। তাই প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য বক্তাদের যাতে বক্তব্যের সময় কোন প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্যই আমি দূরে গিয়ে দাঁড়াই।
তিনি বলেন, আমি বক্তব্য দিতে না দেওয়ার কারণে রাগ করে নয়, পরিস্থিতি শান্ত করতে সমাবেশস্থল থেকে একটু দূরে সরে আসি।
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দিতে প্রেসক্লাবে যান ইশরাক হোসেন। বেলা সাড়ে ১১টার পর একপর্যায়ে অনেককেই বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না বলে যখন মাইকে ঘোষণা করা হয়। তখন এই ঘোষণায় ক্ষিপ্ত হওয়া কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মঞ্চ থেকে নেমে প্রেসক্লাবের ভেতরে চলে যান তিনি।
বিষয়টি নিয়ে মঞ্চে আলোচনা হলে কিছুক্ষণ পর বক্তব্য দেওয়ার জন্য ইশরাকের নাম ঘোষণা করা হয়। তখন মঞ্চে না থাকায় ইশরাক এলে তাকে সুযোগ দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
তবে সময়ের জনপ্রিয় এই নেতাকে সমাবেশে বক্তব্য না দিতে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন সমাবেশে আসা নেতাকর্মীরা।তারা জানান, মহানগরের প্রোগ্রামে ইশরাক হোসেন বক্তব্য রাখেবেন এটা খুবই স্বাভাবিক। তিনি তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ নেতা। কিন্তু আজকে তাকে বক্তব্য দিতে দেওয়া হয়নি। এটা খুবই দু:খজনক ঘটনা। সেইসাথে নির্বাচনের আগে একটি গোষ্ঠী বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ করার পরিবর্তে আরো কোন্দল বাড়িয়ে ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। গত কয়েকবছর ধরে জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে পরিকল্পিতভাবে এই পরিস্থিতি তৈরী করছে উল্লেখ করেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।