পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর দাবি

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  © লোগো

দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চালুর দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য্য ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যাল সম্মান ১ম বর্ষের (২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি কার্যক্রম ও ক্লাস শুরুর সময় সূচি ঘোষণা করেছে। আগামী ২২ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত অনলাইনে প্রাথমিক আবেদন, এরপর যাচাই-বাচাই ও ভর্তি শেষে ৩ জুলাইয়ে শুরু হবে ক্লাস।

তারা আরও বলেন, অত্যন্ত তড়িঘড়ি করে নেয়া এ সিদ্ধান্ত ছাত্রদের চূড়ান্ত হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির মধ্যে ফেলবে। বাস্তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের অনেকটা বাধ্য করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ করতে ও ভর্তি হতে। কারণ এখনও পর্যন্ত কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়নি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চান্স পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা কাজ করে। এই অনিশ্চয়তারই অনৈতিক সুযোগ নিচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এই অনিশ্চয়তা থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম পূরণ করতে বাধ্য হবে।

“সবার আগে ভর্তির সিদ্ধান্ত নিলে আবেদন ফরম পূরণ বাবদ বেশি টাকা আদায় হবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। কিন্তু শিক্ষার্থীরা পড়বে বিপাকে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় যাবতীয় কাগজ-পত্র, ভর্তি ফি দিয়েই তারা সেখানে ভর্তি হবে। পরে যখন শিক্ষার্থীদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রশ্ন আসবে তখন পুনরায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাগজপত্র উত্তোলন ও ভর্তি বাতিল করতে হবে। ভর্তি বাতিল করার জন্য আবার একটি ফি'ও দিতে হবে। এতে শিক্ষার্থীরা হয়রানি ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।”

তারা বলেন, আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে প্রতি বছরই আসন শূন্য থাকে। এগুলোতে ভর্তি নেয়া হয় না। সবার আগে ভর্তি নিলে পরবর্তীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাকা থাকার সম্ভাবনা আরোও বেড়ে যাবে। বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা তাই বলে।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ধরণের সিদ্ধান্ত পরিষ্কারভাবেই বোঝা যাচ্ছে ছাত্রদের পকেট কাটাই মূল উদ্দেশ্য। এখানে ছাত্র স্বার্থের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বছর গুচ্ছভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও একই কাজ করেছে। এইসব ধান্দাবজি একটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ হতে পারে না।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রক্রিয়া চালু করার দাবি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ