আসন ফাঁকা রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত ছাত্রজনতা মেনে নেবে না

  © টিডিসি ফটো

শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা শিক্ষার মৌলিক অধিকার পরিপন্থী। গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্যদের ভর্তির সুযোগ না দিয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদে গভীর সংকট সৃষ্টি করবে।

আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রেখে ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীবান্ধব। এতে শিক্ষার্থীদের সময়, অর্থ ও শ্রম বেঁচে যায়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সুবিধা বিবেচনা না করে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও মুনাফার স্বার্থে মেধাতালিকা অনুযায়ী মেরিট লিস্টে থাকা পরবর্তীদের সুযোগ না দিয়ে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে এ পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। আমরা জানি, বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান উৎপাদন, জ্ঞান বিতরণ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করার জায়গা, কিন্তু সেখানে জালিয়াতির কৌশল করা জাতির জন্য অশুভ সংকেত। শিক্ষাকে পণ্যায়ন করার এক নীলনকশা বাস্তবায়নের পথে হাঁটছে বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থাকে অগ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল এমন হটকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে বলে আমরা মনে করি।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ইউসুফ আহমাদ মানসুর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ ইবরাহীম হুসাইন মৃধা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক নুরুল বশর আজিজী, দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ইহতেশাম বিল্লাহ আজিজী, তথ্য গবেষণা সম্পাদক সুলাইমান দেওয়ান সাকিব, দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, প্রচার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুনতাছির আহমাদ, বিশ্ববিদ্যালয় উপ-সম্পাদক মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান এবং ঢাকা মহানগর ও ঢাকাস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ।