বিশ্বজিৎ ঘোষের বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও একুশে পদক বাতিল চায় বিসিএল
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল। একইসঙ্গে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করা হয়।
সম্প্রতি ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ঢাবির এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিভাগীয় একাডেমিক কমিটি। তাকে বিভাগের সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে তার নামে বরাদ্দকৃত কক্ষ বাতিলসহ কয়েকটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে, আজ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে আমরা জানতে পারি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। গত ২৯ মার্চ বাংলা বিভাগের একাডেমিক মিটিং এ উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. বিশ্বজিত ঘোষকে বিভাগের সকল প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। উল্লেখ্য, তিনি ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০১১ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রীর অভিযোগে ঢাবি অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষকে অব্যাহতি
সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান প্রেরিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল বিশ্বাস করি, দুর্জন বিদ্বান হলে পরিতাজ্য। মুক্তচিন্তার চারণভূমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়নের মত ঘটনা নারী জাগরণের অন্তরায় এবং জাতির জন্য কলংকজনক। মুখোশের আড়ালের এই হীন চরিত্রের যৌন নির্যাতনকারীর সঙ্গে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার একুশে পদকসহ যে কোন রকম সম্মাননাই বেমানান। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, অনতিবিলম্বে তার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক বাতিল করা হোক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক।