ভর্তির আবেদন ফি কমানোর দাবিতে ঢাবি ভিসিকে ছাত্রদলের স্মারকলিপি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ও আবাসিক হলগুলোতে খাবারের দাম কমানোর দাবিতে উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিয়েছে ছাত্রদল।
আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে মধুর ক্যান্টিন থেকে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি তুলে দেন। এসময় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক রকিবুল ইসলাম রাকিব, সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান উপস্থিত ছিলেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ভর্তি কমিটির সভায় নতুনভাবে ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে এক হাজার টাকা। যা গত শিক্ষাবর্ষে (২০২০-২০২১) ছিল ৬৫০ টাকা। এই ফি বাড়ানো হচ্ছে টানা গত তিন বছর ধরে। এর আগে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ছিল ৩৫০ টাকা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে সেই ফি ১০০ টাকা বাড়ানো হয়, ফলে আবেদন ফি হয় ৪৫০ টাকা, এরপর ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে আরও ২০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৬৫০ টাকা, এবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ফি আরও ৩৫০ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে অসংখ্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর চলমান ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। এমতাবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নতুন করে ফি না বাড়িয়ে ভর্তুকি দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন সুগম করার স্বার্থে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোর দাবি জানাচ্ছি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করে আসছি যে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খাবারের দাম বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যায় দিনযাপন করছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ক্যান্টিন গুলোতে খাবারের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মৌলিক চাহিদা বিঘ্ন হওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ডাইনিং ব্যবস্থা বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে বিগত মাসগুলোতে কয়েক দফা খাবারের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়েছে। কারণ যথাযথ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে না। অপরদিকে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজি এ মূল্যবৃদ্ধিতে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে বলে আমরা মনে করি। শিক্ষার্থীদের জন্য এমন পরিবেশ অনাকাঙ্ক্ষিত, যুক্তিহীন ও হতাশাজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকেও খাবারের মান ও পুষ্টি নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষায় কোনো যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের দৈনিক ক্যালরি চাহিদা অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে।