‘চোখে-মুখে রড ঢুকিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল থেকে এক ছাত্রকে মেরে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাতে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত আসিফ হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং ও ইনফরমেশন সিস্টেমস এর ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। মারধরের শিকার রাজিব ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা দুইজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জেলা ছাত্রকল্যাণের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক পোস্ট দিয়েছেন ভুক্তভোগী রাজীব। তিনি প্রথম পোস্ট দেন আজ সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে। সেখানে তিনি লেখেন, ‘মুহসীন হলে আমাকে অকারণে মারা হয়েছে!!! কিল- ঘুষি, চড় ঠাপ্পড়, রড নিয়ে মারতে আসা, রড চোখের ভেতরে, মুখের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া, রড দিয়ে শরীরে মাথায় ধাক্কা মারা, মাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়াসহ মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে!!! এগুলো করেছে আসিফ হাবিব (৪র্থ বর্ষ)!!’
এর কিছুক্ষণ পর তিনি আরেকটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘গতকাল নরসিংদী ছাত্রকল্যাণ সংগঠনের প্রোগ্রামে যাওয়ার কারণে নরসিংদীর নামধারী ছাত্র ঐক্য সংগঠনের সিনিয়র আসিফ হাবিব আমাকে মেরে মুহসীন হলে থেকে বের করে দিয়েছে!!! এই ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণের ভাইদের বিশেষ কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি! রাতে মোবাইল রুমে থাকার কারণে আর আমি বাইরে থাকার কারণে কিছুই জানাতে পারিনি!’ তবে রাজিবের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা ২২ এপ্রিল শুরু
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আসিফ হাবিব বলেন, গতকাল নরসিংদী জেলার দুইটি কমিটি দেওয়া হয়েছে। একটা ছাত্র ঐক্য আরেকটা ছাত্র কল্যাণ। রাজিব ছাত্র ঐক্যের পদধারী হয়েও ছাত্র কল্যাণে গিয়ে পদধারীদের সঙ্গে ছবি তুলে শুভেচ্ছা জানায়। যে কারণে মুহসীন হলের গেস্টরুমে তার সাথে দেখা হলে এসব বিষয় নিয়ে কথা হয় কিন্তু সে জুনিয়র হয়েও সিনিয়রের সাথে বেয়াদবি করে। রাজিব নিজেকে মুহসীন হলের পরিচয় দিলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাই তাকে বলেছিলাম যে হল থেকে বের হয়ে যা। এখানে মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। সে যেসব বলে বেড়াচ্ছে সবই মিথ্যা। আমাদের সাথে শুধু একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সে আমার জুনিয়র হওয়াতে রাগের স্বরে কিছু কথা বলেছিলাম মাত্র।
আরও পড়ুন- রাবিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ থাকবে কিনা, জানা যাবে কাল
এ বিষয়ে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির বলেন, এটা আসলে রাজনৈতিক কোনো বিষয় না। নরসিংদী জেলা সংগঠনের একটা ঝামেলা। ভুক্তভোগী রাজিব বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছে। আমি অভিযুক্ত আসিফকে পাচ্ছি না। দু'জনের সাথে কথা বলে বিষয়টি আরো ভালোভাবে জানতে পারলে ভালো হতো।