বেরোবিতে ভলিবল খেলা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতি, আহত ১
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আয়োজনে আন্তঃবিভাগ ভলিবল খেলায় স্লেজিংকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি এবং পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং ও ইতিহাস বিভাগের মধ্যে ভলিবল খেলায় দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ সময় কয়েকজন দর্শক গ্যালারি থেকে মাঠে চলে আসলে ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত ঘোষ মাঠের উত্তেজনা থামানোর চেষ্টা করে। এসময় তার সাথে ছাত্রলীগ নেতা মামুন, ছাত্রলীগ কর্মী মেজবাহুল সরকার জয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এরপর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় ছাত্রলীগ কর্মী মেজবাহুল সরকার জয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের দিকে আসলে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাজ ও অন্যান্যরা তার উপর হামলা করে। এতে সে আহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে ভলিবল খেলা কমিটি, প্রক্টিরিয়াল বডি ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে বেকার খুঁজে পান না সালমান এফ রহমান
ছাত্রলীগ নেতা সুব্রত ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মাঠে ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে একে অপরকে স্লেজিং করায় মার্কেটিং বিভাগ ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। এমতাবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষার্থীদের মাঝে সমঝোতার চেষ্টা করলে তারা আরও উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেন এবং একে অপরকে আঘাত করতে থাকে। হঠাৎ পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি নিজেও সমঝোতা করার চেষ্টা করি কিন্তু তারা দুই পক্ষ আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে আমার ওপর হামলা করার চেষ্টা করে। পরে আমি আত্মরক্ষার্থে নিজেই স্থান ত্যাগ করে চলে যাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক ইজার আলী বলেন, দুই বিভাগের খেলা চলাকালে স্লেজিংকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন মামুন কে ধাওয়া দিলে আমরা তাকে হেফাজতে নেই। এর কিছুক্ষণ পর হলের সামনে ইতিহাস বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে অচেতন অবস্থায় পাই। পরে তাকে মেডিকেলে পাঠানো হয়। ক্যাম্পাস এখন শান্ত আছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৈয়দ আনোয়ারুল আজিম বলেন, ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তারই সূত্রধরে মারামারি হলে একজন ছাত্র আহত হয়। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। আমরা তদন্ত করবো। এতে দোষী যেই হোক না কেন তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।