২২ মার্চ ২০২২, ০৮:০৪

বান্ধবীসহ সাবেক নেতাকে বেধড়ক পিটুনি ছাত্রলীগের

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সাল হক  © সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাবেক এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের সামনে আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগের কর্মীরা তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনার বিচার দাবি করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ফয়সাল হক। তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৩ ব্যাচের ছাত্র। থাকতেন আল বেরুনী হলে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ফয়সাল। আর মারধরে অভিযুক্তরা আল বেরুনী হলের ৪৫ ও ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সন্ধ্যার দিকে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরের সামনে যান নাশতা করতে। পরে পরিসংখ্যান বিভাগের নওশাদ হোসেন সুজন ১০-১৫ জনসহ সেখানে যান। তারা ফয়সালকে ডেকে সেখানকার পুকুর পাড়ে নিয়ে যান। এরপর এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি দেওয়া শুরু করেন।

এ সময় ফয়সালের বান্ধবী ঠেকাতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করা হয় বলে জানা গেছে। পরে কয়েকজন ফয়সালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে তাকে।

আরো পড়ুন: ‘সেকেন্ড টাইম’ আন্দোলনের ৭ জনকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ

ফয়সাল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কয়েক মাস আগে আমি হল ছেড়ে দিয়েছি। এরপর হলের এনামুল হক (ছাত্রলীগ কর্মী) নানাভাবে হুমকি দেয়, আমি যেন ক্যাম্পাসে আমি না আসি। এর আগে একবার আমার মোটরসাইকেল আটকে রাখে। সে জেরেই ক্যাম্পাসে এসেছি বলে তার অনুসারীরা আমাকে মারধর করেছে।’

বান্ধবীর গলায় থাকা সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ করেছেন ফয়সাল। তবে এনামুল হকের দাবি তিনি ও তার কর্মীরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। তিনি বলেন, ‘ফয়সাল হল থেকে বিতাড়িত হয়েছে। আরো কিছু ঘটনায় সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত। এ কারণে আমাদের দোষারোপ করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে মারধরের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ব্যক্তির দায় নেবে না সংগঠন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় অভিযোগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’