১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩:৫৮

কারাগারে ছাত্রলীগ নেতার সেলফি বিলাস

ফেসবুকে ছবিগুলো পোস্ট করেন মোর্শেদ শাহারিয়া  © সংগৃহীত

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার মামলায় জামিন নিতে আদালতে যান বরগুনার বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতাসহ ১৩ আসামি। বিচারক অন্যদের জামিন দিলেও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোর্শেদ শাহারিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন হোসেন জনিকে কারাগারে পাঠান।

কেউ একজন আদালতের এজলাসেই এই দুই নেতার ছবি তোলেন। কারাগারে নেওয়ার পরও আরেকটি ছবি তোলা হয়। এরপর কারাগারের ভেতর সেলফিও তোলেন ওই দুজন। নিজের ফেসবুকেই ছবিগুলো পোস্ট করেন মোর্শেদ শাহারিয়া। তাতে লেখেন, ‘নৌকার নির্বাচন করতে গিয়ে কারা বরণ করতে হলো আমাদের।’ 

ফেসবুকেই ছবিগুলো পোস্ট করতেই ভাইরাল হয়ে যায়। এজলাস ও কারাগারে ছবি তোলা ও ফেসবুকে পোস্ট করা নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে মোর্শেদ নিজ অ্যাকাউন্টের পোস্টটি ডিলিট করে দেন। তবে তার লোকজনের পোস্টগুলো রয়ে গেছে। ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শেদ নিজের অ্যাকাউন্টে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি)দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে পোস্টটি দেন।

এ বিষয়ে পরিদর্শক মারুফ আহমেদ বলেন, হাজতখানার দায়িত্বে যেসব পুলিশ সদস্যরা ছিলেন, তাদের গাফিলতি থাকতে পারে। এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আদালতের ভেতরে ছবি তোলা বা ভিডিও করা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে জানান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ভুবন চন্দ্র দাস।

তিনি বলেন, কোড অফ কন্ডাক্ট ইন দ্য কোর্টের ১৩ নম্বর ক্রমিকে স্পষ্ট উল্লেখ আছে- আদালতের ভেতরে ছবি তোলা, ভিডিও করা যাবে না। সে ক্ষেত্রে এ কাজ যারা করবে, তারা আদালত অবমাননার দায়ে দণ্ডনীয় অপরাধ করবে।

জানা যায়, ২০২১ সালের ২২ মার্চ বামনা সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বামনা উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তারিকুরুজ্জামান সোহাগ এ ঘটনায় বরগুনার বিচারিক হাকিম আদালত-১-এ মামলা করেন।

মামলায় বামনা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোর্শেদ শাহরিয়া গোলদার ও সাধারণ সম্পাদক আল-আমীন হোসেন জনিসহ ২৭ জনকে আসামি করা হয়। মামলার ১৩ আসামি বুধবার বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক রাসেল মজুমদার ১১ জনকে জামিন দেন, কারাগারে পাঠান মোর্শেদ ও আল-আমীনকে।