সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জয়দীপ ভট্টাচার্য এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটি এই দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিপিএলের ৮ম আসরের পর্দা উঠছে আজ
বিবৃতিতে তারা বলেন, "দেশের হাট-বাজার, অফিস-আদালত, গণপরিবহন সবকিছু স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলা রেখে শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। গত কয়েকদিনে সরকারের শিক্ষামন্ত্রীসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিন দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার কথা বলে আসছিলেন। কিন্তু আজ হঠাৎ করে কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হল তা বোধগম্য নয়। ইতোমধ্যে করোনা মহামারীর শুরুতে ১৭ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। এ পরিস্থিতিতে আবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলে দেশের কোটি কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন বিপন্ন হবে।"
আরও পড়ুন: সংক্রমণ কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে: শিক্ষামন্ত্রী
তারা আরও বলেন, "শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সচল রাখতে বিশেষজ্ঞ, অভিভাবকসহ সচেতন মানুষ শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন প্রদান, শিফটিং ক্লাসসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু সরকার পূর্বের ন্যায় অন্য সকল জনসমাগম ঠিক রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত বিপন্ন করবে। ফলে দীর্ঘ বন্ধের ফলে বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বাভাবিক করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিকল্প নেই।"
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ সরকারের উক্ত সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তা বাতিল করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন।