১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৫:০১

পদত্যাগ চেয়ে ঢাবির ঘৃণা স্তম্ভে অধ্যাপক ফরিদের কুশপুত্তলিকা

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা  © টিডিসি ফটো

২০০৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সামনে নির্মিত হয়েছিল ঘৃণা স্তম্ভ। সেই ঘৃণা স্তম্ভে এবার রাখা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতা ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুস্থ এই ঘৃণা স্তম্ভে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল এর উদ্যোগে অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ কুশপুত্তলিকা স্থাপন করা হয়।

আরও পড়ুন: ভিসিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা, রাষ্ট্রপতিকে চিঠি

জানতে চাইলে সংগঠনটির সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শাবিপ্রবি ঘটনায় আজকে আমাদের রাজু ভাস্কর্যে কর্মসূচি ছিলো। সেটা শেষ করে ডাকসুর সামনে অবস্থিত ঘৃণা স্তস্তে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকা স্থাপন করা হয়।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের কুশপুত্তলিকায় লেখা হয়েছে, “শাবিপ্রবিতে যোক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নির্মম হামলার হোতা ভিসি ফরিদের পদত্যাগ দাবি করছি ও এহেন জঘন্য আচরণে তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি।”

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা ‘দুঃখজনক ঘটনা’: শাবিপ্রবি প্রশাসন

জানা যায়, এ কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নাঈম হাসান হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-বিসিএল কেন্দ্রীয় সংসদ এর সভাপতি গৌতম চন্দ্র শীল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহফুজুর রহমান নেতৃবৃন্দ বলেন, শাবিপ্রবিতে যৌক্তিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে নির্মম ও পৈশাচিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তা অত্যন্ত নির্মম ও দুঃখজনক। এই ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অযোগ্যতা ও শিক্ষার্থী বিমুখ আচরণের পরিচায়ক। শাবিপ্রবি ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি করে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল বিশেষ করে ছাত্রীবিমুখ আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত রোকেয়া হলের প্রভোস্টের প্রতি হুশিয়ারি জানান যেন তারাও সাবধান হয়ে যান।